World Music Day 2024: গানে মুক্তি, গানে শক্তি… সুরে সুরে কীভাবে দূরে সরছে বিষাদ?
Music Therapy: দেখা যাচ্ছে কোনও গানের কথা যদি মন ছুঁয়ে যায়। সুর যদি একটু দ্রুত লয়ে চলতে থাকে। তাহলে মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে কেউ তাঁর হারানো মানসিক শক্তি ফিরে পাচ্ছেন। ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি বলছে গানকে যাঁরা ওষুধের মতো কাজে লাগাচ্ছেন, তাঁদের এনার্জি লেভেল বাড়ছে।
অপুর অসুখ করেছে। সর্বজয়া বললেন দুগ্গা, রানুদের বাগান থেকে দুটো গন্ধভেদালির পাতা নিয়ে আয় তো। একটু ঝোল করে দেবো। বিভূতিভূষণ লিখছেন, দুর্গা গন্ধভেদালির পাতা খুঁজিতে খুঁজিতে মনের সুখে মাথা দুলাইয়া পিসিমার মুখে ছেলেবেলায় শেখা একটি ছড়া আবৃত্তি করে। হলুদ বনে বনে। নাকছাবিটি হারিয়ে গেছে, সুখ নেইকো মনে। সত্যি সব আছে। শুধু আমাদের জীবন থেকে পালিয়ে গেছে সুখ। মন খারাপ আর অবসাদে রোজ যেন কোনও এক আঁধারে তলিয়ে যাচ্ছি আমরা। এ থেকে বাঁচার উপায় কী। না ওষুধ লাগবে না। ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। ১৩ মিনিট। মাত্র ১৩ মিনিটে নেমে যাবে মনের ভার। ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অব সাউন্ড থেরাপি বলছে ধীর লয়ের সহজ কোনও সুর শুনুন। তাতে কোনও কথা থাকার দরকার নেই। ১৩ মিনিটেই মনের আরাম পাবেন।
ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি একটা সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষার রেজাল্ট বলছে ৯০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাঁরা গানবাজনাকে ওষুধ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর তাতে ভালো আছেন। ধীর লয়ের কোনও সহজ মিষ্টি সুর দূর করে দিচ্ছে পেশির যন্ত্রণা। ভালো করে দিচ্ছে মন। রাতে ঘুম হচ্ছে ভালো। আবার দেখা যাচ্ছে কোনও গানের কথা যদি মন ছুঁয়ে যায়। সুর যদি একটু দ্রুত লয়ে চলতে থাকে। তাহলে মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে কেউ তাঁর হারানো মানসিক শক্তি ফিরে পাচ্ছেন। ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি বলছে গানকে যাঁরা ওষুধের মতো কাজে লাগাচ্ছেন, তাঁদের এনার্জি লেভেল বাড়ছে। যে মানুষটা হাসতে প্রায় ভুলে গিয়েছিলেন। তিনি আবার প্রাণ খুলে হাসছেন। চলুন, আজ বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে আপনাদের দেখাই কীভাবে অসুখ সারিয়ে দিচ্ছে মিউজিক থেরাপি।