
আলিপুরদুয়ার: জেলা হাসপাতালের সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যেই কিশোরীকে পুজোর মুখে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসক। পেলভিস ফ্র্যাকচারের পর হল সফল অপারেশন। উত্তরবঙ্গে এমন অপারেশনে কার্যত এক নজির গড়লেন চিকিৎসক অশ্রু শিকদার। তিনি বুঝিয়ে দিলেন জেলা হাসপাতালেও এমনটা করা সম্ভব।
কয়েকদিন আগে মাদারিহাট ব্লকের নাঙডালা চা বাগানের বছর ১৮-র এক কিশোরী পড়ে গিয়ে গুরুতরভাবে জখম হয়। এরপর তাকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। জেলা হাসপাতালে এক্সরে করার পর ধরা পড়ে তার পেলভিস ফ্র্যাকচার হয়েছে। ওই কিশোরীর কোমরের হাড় এমনভাবে ভেঙেছে যে সে চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলে।
এরপর জেলা হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ শুভেন্দু সিকদার ওই কিশোরীকে দেখে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ওই অপারেশনের সম্পূর্ণ পরিকাঠামো জেলা হাসপাতালে ছিল না। হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মণ্ডলকে বিষয়টি জানানোর পর সুপার তাঁকে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন ছিল, সেগুলো বাইরে থেকে আনার ব্যবস্থা করেন। নির্বিঘ্নে অপারেশন শেষ করার মাত্র ১০ দিনের মাথায় ওই কিশোরী নিজের পায়ে হেঁটে হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যায় শুক্রবার।
চিকিৎসকরা বলেছিলেন এই সমস্ত ঘটনায় মাস খানেক সময় লাগে হাঁটাচলা শুরু করতে। কিন্তু ওই কিশোরী মাত্র ১০ দিনেই হাঁটতে শুরু করে দেয়। যেই অপারেশন করতে বাইরে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল, সেই অপারেশন জেলা হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই করা হয়েছে।