Firhad Hakim: ফিরহাদের হস্তক্ষেপে ফের শুরু গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের কাজ

Ashique Insan | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 26, 2024 | 8:50 PM

KMDA: সূত্রের খবর, কেএমডিএ-এর কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষতির পাশাপাশি সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিধায়ককে ফোন করেন পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দ্রুত কাজ শুরু করার কথা বলেন তিনি। তারপরই এদিন ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার।

Firhad Hakim: ফিরহাদের হস্তক্ষেপে ফের শুরু গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের কাজ
গঙ্গা অ্যাকশান প্ল্যানের কাজ চলছে।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হুগলি: কেএমডিএ গঙ্গা অ্যাকশান প্ল্যানের লিফটিং স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হল অবশেষে। ফিরহাদ হাকিমের ফোনে শুরু হল কাজ। লিফটিং স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। সেই কাজের জন্য মাটি তোলার সময় ফাটল ধরে চুঁচুড়া পিপুলপাতি কদমতলার কয়েকটি বাড়িতে। বিপজ্জনক পরিস্থিতি হওয়ায় একটি পরিবারকে সরাতেও হয়। আগে থেকে ব্যবস্থা না নিয়ে কাজ করায় এমন বিপত্তি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই বিধায়কের ধমকে কাজ বন্ধ রাখতে হয় বলে অভিযোগ।

চারদিন পর বৃহস্পতিবার কেএমডি-এর ইঞ্জিনিয়ররা প্রকল্প এলাকায় এসে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে ফের কাজ শুরু হয়। সূত্রের খবর, কেএমডিএ-এর কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষতির পাশাপাশি সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিধায়ককে ফোন করেন পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দ্রুত কাজ শুরু করার কথা বলেন তিনি। তারপরই এদিন ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার।

কেএমডিএ-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, আমাদের কাজ হয়ে যাওয়ার পরে বাড়িগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিছু বাড়ির আছে, যারা বলছেন তাঁদের ভিত নড়ে গিয়েছে। একটি আবাস যোজনার বাড়ি রয়েছে, দেওয়ালে চির ধরেছে। সবার ক্ষেত্রে একই কথা। আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সমস্ত বাড়িগুলিকেই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব। মাটির ৪০ ফুট নিচে গর্ত করে কাজ করা হচ্ছে তাই বালি বেরিয়ে আসছিল তার জন্যই এমনটা হতে পারে।” তিনি জানান, সমস্ত সুরক্ষা নিয়েই সবটা করা হয়েছে। এই ঘটনাকে ‘পার্ট অব গেম’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সদস্য বরুণ ঘোষালের দাবি, বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। আগের অবস্থায় না ফেরানো অবধি ভরসা পাচ্ছেন না তিনি। অভিযোগ উঠেছিল, এখানে কোনও ইঞ্জিনিয়ার ছিল না সেদিন। তা মানতে নারাজ কেএমডিএ-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, এখানে সবসময়ই ইঞ্জিনিয়ার থাকেন।

অন্যদিকে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “আমাকে ইঞ্জিনিয়ার ফোন করেছিলেন, কয়েকদিন কাজ বন্ধও ছিল। আমি তো ইঞ্জিনিয়ার নই আমি এসব বুঝিও না। আমি মানুষের হয়ে কথা বলেছি। তবে ফিরহাদ হাকিম আমার সঙ্গে কথা বলেন। উনিও চেয়েছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজটা যাতে শুরু করা যায়।”

Next Article