ত্রিবেণী: মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ত্রিবেণী কুম্ভ মেলার অনুমতি দিল না প্রশাসন। হুগলি জেলার ত্রিবেণীতে গত দু’বছর আগে শুরু হয় কুম্ভ মেলা। এ বছর ১১-১৩ ফেব্রুয়ারী মেলার দিন ধার্য করেছিল কুম্ভমেলা পরিচালন সমিতি। ১৩ তারিখ ছিল শাহি স্নান। কিন্তু ওই সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় জেলা প্রশাসন মেলার অনুমতি দেয়নি। শনিবার সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা মেলা কমিটি, শিবপুর ক্লাব, বাঁশবেড়িয়া পুরসভা, দমকল, স্বাস্থ্য, পুলিশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মেলা পরিচালন সমিতিকে জানিয়ে দেওয়া হয় মেলার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে মহকুমা শাসক বলেছেন, “কুম্ভ মেলা গত দু’বছর হয়েছে।কিন্তু অনেক দিন আগে এই মেলা হত তার কোনও পূর্বের ইতিহাস নেই। সব মিলিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে এ সময়। নিরাপত্তা, দমকল ব্যবস্থা থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমস্যা হতে পারে। সে জন্যই মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
যে মাঠে ত্রিবেণীর কুম্ভ মেলা বসে সেই শিবপুর স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “গত দুবছর জোর করে এই মেলা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি ক্লাবের তরফে। আমরা এই মাঠে শুধু খেলোয়াড় তৈরি করতে চায়। মিলন মেলা যেটা হয় সেটা ক্লাবের ফান্ডিংয়ের জন্য।আমরা মহকুমা শাসককে বলেছি মেলা অন্যত্র হোক।”
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারপারসন শিল্পী চ্যাটার্জি বলেছেন, “মাধ্যমিকের সময়ে কুম্ভমেলা হওয়ার কথা ছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এবার কুম্ভমেলা স্থগিত রাখা হল।সবার উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত হয়।” ফোনে মেলা পরিচালন সমিতির পক্ষে শুভম শ্রীবাস্তব জানান, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে যা বলার সোমবার জানানো হবে।
মেলা হচ্ছে না জানিয়ে দেওয়া হলেও রবিবার সকালে দেখা যায় মেলার ব্যানার টাঙানো হচ্ছে শিবপুর মাঠের সামনে। দুবছর আগে ত্রিবেণীতে শুরু হয় কুম্ভমেলা। এই মেলাকে উদ্যোক্তারা মিনি কুম্ভ বলে থাকেন। তবে মেলার অনুমতি না দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির হুগলি জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “কুম্ভমেলায় অনেক বিজেপি নেতৃত্ব যুক্ত। গতবার সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন। সামনেই লোকসভা ভোট। এখানে বহু সনাতনী যোগ দেবেন। তাই ভয় পেয়ে এই মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেলার দিন অনেক আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকে।মাধ্যমিক পরীক্ষাটা অজুহাত ছাড়া আর কিছু না।”