CPIM West Bengal: বজায় রইল ‘নবীন স্তুতি’, বুদ্ধ-ইয়েচুরি স্মরণানুষ্ঠানে তরুণদের এগিয়ে দিলেন সেলিমও

CPIM Memorial Programme in Hooghly: মীনাক্ষী-দীপ্সিতা থেকে প্রতীক-সপ্তর্ষি বক্তব্য রেখেছেন প্রত্যেকেই। ভাষণ দিয়েছেন সৃজনও। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে 'মার্কসবাদ'। রাশিয়া-চিনের অনুরূপ নয়। বরং ভারতের মাটিতে, ভারতীয় ছাঁচে। এই নবীনদের প্রসঙ্গে আবার সভা শেষে গর্বের সুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'একমাত্র সিপিএমই জোর গলায় বলতে পারে, বাদ বাকি সবাই ভাড়াটে নিয়ে আসে। আজ যে নবীনরা এসেছেন, তাঁরা কেউ দলবদল করে আসেনি।'

CPIM West Bengal: বজায় রইল নবীন স্তুতি, বুদ্ধ-ইয়েচুরি স্মরণানুষ্ঠানে তরুণদের এগিয়ে দিলেন সেলিমও
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Sep 21, 2025 | 2:11 AM

হুগলি: বামেদের স্মরণসভায় বজায় রইল ‘নবীন স্তুতি’। শনিবার প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভার আয়োজন করেছিল সিপিআইএম। হুগলির কোন্নগর রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচি ঘিরে বজায় থাকল ‘নবীন কথা’। আর থাকবে নাই বা কেন? এই কর্মসূচি ছিল পক্ককেশদের স্মরণ করিয়ে নবীন প্রেরণায়।

মীনাক্ষী-দীপ্সিতা থেকে প্রতীক-সপ্তর্ষি বক্তব্য রেখেছেন প্রত্যেকেই। ভাষণ দিয়েছেন সৃজনও। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ‘মার্কসবাদ’। রাশিয়া-চিনের অনুরূপ নয়। বরং ভারতের মাটিতে, ভারতীয় ছাঁচে। এই নবীনদের প্রসঙ্গে আবার সভা শেষে গর্বের সুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘একমাত্র সিপিএমই জোর গলায় বলতে পারে, বাদ বাকি সবাই ভাড়াটে নিয়ে আসে। আজ যে নবীনরা এসেছেন, তাঁরা কেউ দলবদল করে আসেনি। তাঁরা আন্দোলন সংগ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। যখন কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হচ্ছে না। গণতন্ত্রের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, তখন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে থেকে এই তাজা রক্তরা উঠে এসেছে। বিজেপি আর তৃণমূলে যা আছে সব পচা আর বাসি।’

গতবছর ৮ই অগস্ট প্রয়াত হয়েছিলেন বাংলা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর মৃত্যুর এক মাস পর ১২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সীতারাম ইয়েচুরি। আর বছর ঘুরতেই দুই নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজ্য সিপিএম-র তরফে একটি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল। এদিনের ‘নবীন কথা’ সভায় সেই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীও চলেছে।

সেলিম বললেন, ‘এই অনুষ্ঠানের একটা অভিনবত্ব ছিল। প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে পুরস্কার বিতরণী হয়েছে। অনেকে আসতে পারেনি, তাদের আমরা পুরস্কার পাঠিয়ে দেব। আর এই সবই তো নতুন প্রজন্মের জন্য। তাদের শিক্ষা, কাজের দাবিতেই তো আমাদের লড়াই করেছিলেন বুদ্ধদেব-সীতারাম। সেই কথা মাথায় রেখে আমরাও নবীন প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য়ে দিয়ে উঠে আসা ১০০ জন নবীনের মধ্যে আজকের অনুষ্ঠানে ১০ শতাংশ প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল। তাদের সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে।’