Polba Murder: ছাগলের মৃত্যুতে দেখলেই গালি দিতেন, রাগে গলা কেটে খুন! পোলবায় বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যুতে রহস্য উদঘাটন

Ashique Insan | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 16, 2024 | 1:33 PM

Polba Murder: ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সূত্র ধরে খোঁজ শুরু করে। কী কারণে একজন প্রৌঢ়াকে এভাবে খুন করা হল, খুনের মোটিভ কী, খুনি কি একজন না একাধিক? শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ শুরু করে।

Polba Murder: ছাগলের মৃত্যুতে দেখলেই গালি দিতেন, রাগে গলা কেটে খুন! পোলবায় বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যুতে রহস্য উদঘাটন
পোলবা খুনে গ্রেফতার
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হুগলি: পোলবার বিজেপি কর্মীর মায়ের খুনের কিনারা করল পুলিশ।  পুলিশের জালে এক ঠিকাদার। ছাগলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল ঠিকাদারের ওপর। গালিগালাজ করায় গলা কেটে খুন করা হয় প্রৌঢ়কে। পোলবা খুনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকাদার। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শঙ্কর সাদা (৫৪)।  তাঁর বাড়ি বিহারের খাগারিয়া জেলায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে পোলবার সুগন্ধার একটি ইট ভাটার পাশে সার কারখানার পিছনের একটি পরিত্যক্ত চৌবাচ্চা থেকে জ্যোৎস্না জানার(৫৫) গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মহিলা ও তাঁর স্বামী ওই ইট ভাটায় থাকতেন। মহিলার অনেক গুলি ছাগল রয়েছে।রোজই ছাগল চড়াতে যেতেন সার কারখানার পিছন থেকে। মাস খানেক আগে তার একটি ছাগলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সার কারখানার পিছনে শ্রমিকদের থাকার মেস আছে।

কিছুদিন আগে ওই মহিলার একটি ছাগলের মৃত্যু হয়। বৃদ্ধা মনে করে থাকেন,   মেসের উচ্ছ্বিস্ট  খাবার খেয়ে ছাগলটির মৃত্যু হয়েছে।  শ্রমিকদের দেখলেই গালিগালাজ করতেন মহিলা। পুলিশ জেরায় জানতে পারে, ঘটনার দিন শঙ্কর আকন্ঠ মদ্যপান করেছিল। মহিলা ছাগল নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দেখে গালিগালাজ শুরু করেন। মেস থেকে সবজি কাটার ছুরি নিয়ে এসে মহিলার গলা কেটে খুন করে পরিত্যক্ত চৌবাচ্চায় ফেলে দেয়। তারপর হাতমুখ ধুয়ে সন্ধার পর ব্যান্ডেল থেকে ট্রেন ধরে বিহার চলে যায়।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সূত্র ধরে খোঁজ শুরু করে। কী কারণে একজন প্রৌঢ়াকে এভাবে খুন করা হল, খুনের মোটিভ কী, খুনি কি একজন না একাধিক? শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। খুনের ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগে।বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পোলবা থানায় বিক্ষোভ করেন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে।

পুলিশ পূর্ব বর্ধমান থেকে স্নিফার ডগ নিয়ে এসে তথ্য সন্ধান করে। পোলবা থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে ওসি পোলবা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছিল। সার কারখানার শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানা যায় ওই কারখানায় শ্রমিক সাপ্লাই করে শঙ্কর সাদা। ঘটনার পর থেকে সে বেপাত্তা ছিল।

জানা যায় স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলে তিনি বিহারে দেশের বাড়ি পালিয়ে যান। তাঁর পাঠানো শ্রমিকরা কাজ করছে না বলে কারখানার ম্যানেজার ফোন করে ডাকেন।গতকাল ফিরে আসতেই তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ।

Next Article