বনগাঁ: দশ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির আকাশ পাতাল তফাৎ। দিন দশেক আগে বাংলাদেশের দিদি-দাদার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন বনগাঁর হরিদাসপুরের সুুনীতি মৃধা। বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। বাংলাদেশের কী পরিস্থিতি, কী ভয়ানক অবস্থায় রয়েছেন সেখানে হিন্দুরা, তা তাঁর কথাতেই ব্যক্ত হয়। তিনি বলেন, “একদিন আমাকে এসে সেখানকার এক মুসলিম বলল, তোমাদের রাজা ভারতে চলে গিয়েছে, তোমরা আস্তে আস্তে দু-তিন মাসের মধ্যে ভারতে চলে যাও, তোমরা নমঃশূদ্ররা ভারতে চলে যাও, নাহলে তোমাদের একটাকেও আস্ত রাখব না।”
কী অবস্থা চলছে সেখানে? প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, “উরি বাবা, সে বলা যাবে না। বিশাল হামলা চলছে ওখানে। ভাল ভাল বউকে মেয়েকে ওরা তুলে নিতে চায়। জামাতের দল আর খালাদের দল। মায়ের কাছ থেকে বাবার কাছ থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঘরে আগুন দিচ্ছে। জমি জমা দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।”
সুনীতির বক্তব্য, “দিনটা যাও করে কাটছে, রাত হলেও ওখানকার মানুষের প্রাণটা ধুকধুক করছে। ছেলেদের ধরে নিয়ে মারছে। আমাদের ভারতে যদি মুসলিমরা আসে চিকিৎসা করাতে, তাহলে আমি বলব ঘেঁটি ধরে বার করে দেওয়া উচিত। চাল গম, তেল কিচ্ছু পাঠানো যাবে না। আমাদের গুরুদেবকে এমন করছে…. এটুকুও প্রসাদ দিচ্ছে না। সে বড় কষ্টে বাঁচছে।”
তবে শুভেন্দু অধিকারীর আন্দোলন যে বাংলাদেশে প্রভাব ফেলছে, সেকথাও বললেন তিনি। পেট্রাপোলে অরাজনৈতিক ব্যানারে প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি। সোমবারই তাতে সামিল হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হিন্দু বাঁচাও, সনাতনিদের রক্ষা করার জন্য সুর চড়ান তিনি। চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবি যাতে এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলাতেও পৌঁছে যায়, তার দাবিতে বেলুন ওড়ান তিনি। বাংলাদেশে অশান্তি যারা পাকাচ্ছে, তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারত বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র। সীমান্তে অনেকগুলো শব্দদানব রাখা রয়েছে। দুটি যদি ঘুরিয়ে দেয় না ভারতের বীর সেনা, ছুটে পালিয়ে যাবে মোল্লার দল।” কিন্তু শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি যে সে বাংলায় প্রভাব ফেলছে, সে কথাও বললেন এই প্রৌঢ়া।