উত্তর ২৪ পরগনা: দলকে ব্ল্যাকমেইল করছেন বনগাঁর (Bongaon) বিজেপি সাংসদ, এবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি-তে যোগ দেওয়া বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। তাঁর এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই ‘অন্য সুর’ শুনতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। দলীয় সাংসদের প্রতি তাঁর এই ‘ক্ষোভ’ তাঁকে ‘নতুন কিছু’ ভাবতে ইন্ধন যোগাতে পারে বলেই দাবি সংশ্লিষ্টমহলের।
গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গ রাজনীতিতে জোর চর্চা বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে। এক সময় তিনি তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূলের টিকিটেই বিধায়ক হন তিনি। কিন্তু ‘১৯-এ লোকসভা ভোটের পর হঠাৎ পদ্মশিবিরে ভিড়ে যান। রাজনীতির কারবারিদের কথায়, বিজেপি-তে যোগদানের পর বিশ্বজিৎ শুধু বিধায়ক হয়েই থেকে গিয়েছেন। বিজেপি তাঁকে সেভাবে ‘কাজে লাগায়নি’। বরং বনগাঁয় বিজেপির ‘একমেবদ্বিতীয়ম’ হয়ে উঠেছেন শান্তনু ঠাকুর।
শুক্রবার সেই শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “দলকে ব্ল্যাকমেইল করছেন শান্তনু।” কিন্তু কী সেই ব্ল্যাকমেইল তা খোলসা করেননি এখনও। তবে জেলার রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, নিজেকে কিছুটা কোণঠাসা মনে করছেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক। তাঁর মনে হচ্ছে, শান্তনু ঠাকুরের কথা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। তবে জল যে এতটা গড়িয়ে গিয়েছে তা এতদিন ঠাওর করা যায়নি।
আরও পড়ুন: অমৃতসর নয়, শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎস তাজাকিস্তান-চিন
সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বজিৎ পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার পরই জল্পনা গতি পায়। এরপরই তাঁকে হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়ে ডেকে তরিঘড়ি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়। বৈঠকের পর বিশ্বজিতকে হাসি মুখে দেখা গেলেও সেই হাসি যে কোনও ভাবেই বিজেপির মুখের হাসি চওড়া করছে না তা আপাতত স্পষ্ট।
এসবের মধ্যেই সম্প্রতি জেলায় অমিত শাহ এলেও প্রথমে সেখানে আমন্ত্রণ পাননি বিশ্বজিৎ। এই ঘটনা তাঁর অভিমানের আগুনে ঘি ঢালে। সূত্রের খবর, এই বিধানসভা ভোটে শান্তনু চাইছেন, বনগাঁ উত্তরে তাঁর পছন্দের লোককে প্রার্থী করা হোক। সে খবরও কানে গিয়েছে বিশ্বজিতের। বিজেপির অন্দরের খবর, এসব ঘটনার পরই বিশ্বজিতের মনে হচ্ছে শান্তনু ঠাকুর দলে নিজের প্রভাব খাটিয়ে বনগাঁয় নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখতে চাইছেন। বিশ্বজিতের এই আশঙ্কা সত্যি কি না তা সময়ই বলবে। তবে এসব ঘটনাক্রমে বিশ্বজিতের ‘ঘর ওয়াপসি’র সম্ভবনা যে রীতিমত তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উত্তর ২৪ পরগনা: দলকে ব্ল্যাকমেইল করছেন বনগাঁর (Bongaon) বিজেপি সাংসদ, এবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি-তে যোগ দেওয়া বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। তাঁর এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই ‘অন্য সুর’ শুনতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। দলীয় সাংসদের প্রতি তাঁর এই ‘ক্ষোভ’ তাঁকে ‘নতুন কিছু’ ভাবতে ইন্ধন যোগাতে পারে বলেই দাবি সংশ্লিষ্টমহলের।
গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গ রাজনীতিতে জোর চর্চা বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে। এক সময় তিনি তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূলের টিকিটেই বিধায়ক হন তিনি। কিন্তু ‘১৯-এ লোকসভা ভোটের পর হঠাৎ পদ্মশিবিরে ভিড়ে যান। রাজনীতির কারবারিদের কথায়, বিজেপি-তে যোগদানের পর বিশ্বজিৎ শুধু বিধায়ক হয়েই থেকে গিয়েছেন। বিজেপি তাঁকে সেভাবে ‘কাজে লাগায়নি’। বরং বনগাঁয় বিজেপির ‘একমেবদ্বিতীয়ম’ হয়ে উঠেছেন শান্তনু ঠাকুর।
শুক্রবার সেই শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “দলকে ব্ল্যাকমেইল করছেন শান্তনু।” কিন্তু কী সেই ব্ল্যাকমেইল তা খোলসা করেননি এখনও। তবে জেলার রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, নিজেকে কিছুটা কোণঠাসা মনে করছেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক। তাঁর মনে হচ্ছে, শান্তনু ঠাকুরের কথা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। তবে জল যে এতটা গড়িয়ে গিয়েছে তা এতদিন ঠাওর করা যায়নি।
আরও পড়ুন: অমৃতসর নয়, শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎস তাজাকিস্তান-চিন
সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বজিৎ পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার পরই জল্পনা গতি পায়। এরপরই তাঁকে হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়ে ডেকে তরিঘড়ি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়। বৈঠকের পর বিশ্বজিতকে হাসি মুখে দেখা গেলেও সেই হাসি যে কোনও ভাবেই বিজেপির মুখের হাসি চওড়া করছে না তা আপাতত স্পষ্ট।
এসবের মধ্যেই সম্প্রতি জেলায় অমিত শাহ এলেও প্রথমে সেখানে আমন্ত্রণ পাননি বিশ্বজিৎ। এই ঘটনা তাঁর অভিমানের আগুনে ঘি ঢালে। সূত্রের খবর, এই বিধানসভা ভোটে শান্তনু চাইছেন, বনগাঁ উত্তরে তাঁর পছন্দের লোককে প্রার্থী করা হোক। সে খবরও কানে গিয়েছে বিশ্বজিতের। বিজেপির অন্দরের খবর, এসব ঘটনার পরই বিশ্বজিতের মনে হচ্ছে শান্তনু ঠাকুর দলে নিজের প্রভাব খাটিয়ে বনগাঁয় নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখতে চাইছেন। বিশ্বজিতের এই আশঙ্কা সত্যি কি না তা সময়ই বলবে। তবে এসব ঘটনাক্রমে বিশ্বজিতের ‘ঘর ওয়াপসি’র সম্ভবনা যে রীতিমত তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।