SIR in Bengal: মায়ের চেয়ে ১১ বছরের বড় ছেলে! মাতা-পুত্রের ‘অঙ্ক’ দেখে হতবাক শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: সেখানকার ২৬৪ নং বুথের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ শেখ। বয়স ৭৬ বছর। এদিকে আব্দুলের মা যছিমন শেখের বয়স ৬৫ বছর। ফারাক ১১ বছরের। তিনি থাকেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা এলাকায়। কিন্তু বয়সের এই অবাস্তব ফারাক কি সম্ভব? শুভেন্দুর পোস্ট মোতাবেক, ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকাতে নাম রয়েছে ওই বৃদ্ধার। কিন্তু সেই সংশোধিত তালিকা থেকে বাদ আব্দুল মজিদ। মায়ের নাম রয়েছে।

SIR in Bengal: মায়ের চেয়ে ১১ বছরের বড় ছেলে! মাতা-পুত্রের অঙ্ক দেখে হতবাক শুভেন্দু
বড় অভিযোগ শুভেন্দুরImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Nov 22, 2025 | 10:56 PM

বনগাঁ: পিতা-পুত্রের বয়সের অঙ্ক কে না করেনি। ছেলেবেলায় অঙ্কে যারা একটু কাঁচা ছিল, একটা গোলমাল তাঁরা হামেশাই করেছে। অঙ্ক মেলেনি, উল্টে পুত্রের বয়স বেড়ে গিয়েছে পিতার থেকেও। কিন্তু বাস্তবে কি এমনটা সম্ভব? বয়সের অঙ্কে যে বাস্তবেও ভুল হতে পারে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু। তবে পিতা-পুত্রের নয়, তাঁর বইয়ে ‘ভুলের’ উদাহরণ হলে মা-পুত্র। যাঁদের বয়সের ব্যবধান ১১ বছর। মায়ের বয়স ৬৫, ছেলের বয়স ৭৬ বছর।

শনিবার নিজের সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই এই বয়সের গরমিল তুলে ধরেছেন তিনি। শান দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তত্ত্বে। শুভেন্দুর পোস্ট অনুযায়ী, এই বয়সের ফারাক ধরা পড়েছে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার রামনগর পঞ্চায়েত এলাকায়।

সেখানকার ২৬৪ নং বুথের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ শেখ। বয়স ৭৬ বছর। এদিকে আব্দুলের মা যছিমন শেখের বয়স ৬৫ বছর। ফারাক ১১ বছরের। তিনি থাকেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা এলাকায়। কিন্তু বয়সের এই অবাস্তব ফারাক কি সম্ভব? শুভেন্দুর পোস্ট মোতাবেক, ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকাতে নাম রয়েছে ওই বৃদ্ধার। কিন্তু সেই সংশোধিত তালিকা থেকে বাদ আব্দুল মজিদ। মায়ের নাম রয়েছে। এদিকে ছেলে তাঁর চেয়েও বয়সে বড় হয়েও নাম নেই। এ কীভাবে সম্ভব? আর এই বয়সের অবাস্তব ফারাকটাই বা ঘটল কীভাবে?

শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘এরকম নির্দশন বর্তমানে দিকে দিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কে কাকে বাবা-মা সাজাচ্ছে, কে আবার শ্বশুর সাজাচ্ছে। এসআইআর-র কাজ শেষ হলে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা কমে যাবে ও জনবিন্যাস সংশোধিত হবে।’ নিজের সমাজমাধ্যমে করা সেই পোস্টে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের সিইও দফতরেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু।

তা হলে কি আব্দুল মজিদ সত্যিই একজন বাংলাদেশি? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল টিভি৯ বাংলা। কিন্তু বাড়িতে ছিলেন না তিনি। অবশ্য বাবার পরিচয় নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রাট প্রসঙ্গে উত্তর দিয়েছেন তাঁর ছেলে সাবির হোসেইন শেখ। দাদুর দু’টি বিয়ে করার কারণেই এই বিভ্রাট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবির। তাঁর কথায়, ‘আমার দাদুর দু’টো বিয়ে ছিল। বাবা প্রথম পক্ষের সন্তান। কিন্তু তাঁর মা মারা গেলে দাদু আবার বিয়ে করেন। সে বয়সে বাবার থেকেও ছোট বলেই শুনেছি। সেই কারণে এই সমস্যা।’ অবশ্য় আব্দুলের এই বয়সের ফারাক নিয়ে মুখ খুলতে চাননি রামনগর পঞ্চায়েত প্রধান। বয়সের বিষয় নির্বাচন কমিশন জানে বলেই দাবি প্রধানের।