আসানসোল: হাতে ছিল আগে লাগেজ ব্যাগ। যখন চেকিং চলছিল, তখন অদ্ভুতভাবে ব্যাগটাকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন দুই ব্যক্তি। তা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল দুঁদে কর্তাদের। গিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করেন। কিন্তু উত্তর সন্তোষজনক লাগে না।তারপরই ব্যাগে তল্লাশি চালান। ব্যাগের চেন খুলতেই দেখা যায়, আঁশের মতো কিছু।
সাপের বিষের পর এবার পেঙ্গলিনের আঁশ পাচার। পাচারের পথে বনদফতরের হাতে ধরা পড়ল দু’জন। ধৃত দুই ব্যক্তির নাম রামকুমার গিরি, অনিল কুমার চৌধুরী। ধৃত দু’জনেই আসানসোলের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে আসানসোল কুমারপুর এলাকা থেকে পাচারের পথে এই দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কিলো আঁশ উদ্ধার হয়েছে। যারা বাজার মূল্য আনুমানিক ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
আসানসোল রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় পতি জানিয়েছেন, পেঙ্গলিনের আঁশগুলি পাচারের জন্য দফারফা বা ডিল করার কথা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাচারের কথা জানা যায়। পরে আসানসোলের কুমারপুর এলাকায় মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে স্পট চিহ্নিত করে হাতেনাতে দুজনকে পেঙ্গলিনের আঁশ সহ আটক করা হয়। ধৃতদের আসানসোল দক্ষিণ থানার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, প্যাঙ্গোলিনের আঁশ দিয়েই মহার্ঘ্য ওষুধ তৈরি হয়। এই আঁশ মূলত ঝাড়খণ্ড-বাংলাদেশেই পাচার হয়। আসানসোল ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে পাচারচক্র সক্রিয়। একটা বড় র্যাকেট জড়িত। ধৃত দু’জন কেবল মধ্যস্থতাকারী হিসাবেই কাজ করে থাকেন। তাঁদের মাধ্যমে এই চক্রের চাঁইয়ের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।