Ghatal: ক্লাস নাইনের ছাত্রীর বমি শুরু আচমকা, শেষে দেখা গেল পেটে রয়েছে…

Ashim Bera | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 09, 2024 | 6:25 AM

Ghatal: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ তোলে তারা। এদিকে এই ঘটনা ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় ঘাটাল হাসপাতাল চত্বরে। পরে ঘাটাল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Ghatal: ক্লাস নাইনের ছাত্রীর বমি শুরু আচমকা, শেষে দেখা গেল পেটে রয়েছে...
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ঘাটাল: নবম শ্রেণির ছাত্রীর হঠাৎই জ্বর, বমি। ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ২ জুলাই। ৭ জুলাই চিকিৎসকরা ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে ছেড়ে দেন। পরদিন রবিবার আবারও যেই কে সেই। এরপরই ঘাটাল হাসপাতালে পুনরায় নিয়ে আসা হয় ওই ছাত্রীকে। তবে বাঁচানো যায়নি। জানা যায় কিডনিতে স্টোন রয়েছে। মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ তোলে তারা। এদিকে এই ঘটনা ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় ঘাটাল হাসপাতাল চত্বরে। পরে ঘাটাল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার হরিশপুর গ্রামের বিনয় বাগের মেয়ে সুমৌবি বাগ। গত মঙ্গলবার ঘাটাল হাসপাতালে জ্বর, বমি নিয়ে ভর্তি হয়। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেন চিকিৎসকরা। আত্মীয় নারায়ণ বাগের কথায়, “কিডনিতে পাথর হয়েছিল। মেয়েটাকে এখানে এনেছিলাম। কিন্তু প্রথম থেকেই নার্সদের ব্যবহার খুব খারাপ। ওরা চাইত লাথি মেরে রোগী ফেলে দিতে। পাঁচ জায়গা থেকে পাঁচটা রিপোর্ট করাল। অথচ একই রিপোর্ট, কিডনিতে পাথর।”

পরিবারের দাবি, ডাক্তারের চাপে একই পরীক্ষা একাধিক জায়গা থেকে করতে হয়েছে। নিহতের মায়ের কথায়, “মেয়েটা বলছিল মা আমি চলে যাব, চলেই গেল। ডাক্তার এসে সারা হাতে স্যালাইন দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোথাও না পেরে শেষে পায়ে চ্যানেল করল। আর ডাক্তাররা কী বাজে ব্যবহার করছে। এমার্জেন্সিতে যে রোগী ভর্তি হয়েছে, একবার ভাল করে দেখছে না পর্যন্ত। সকালে মেয়ে এনেছি, এল কত বেলায়। এসে কী বাজে ব্যবহার ডাক্তারের। রিপোর্ট দেখবে কী, চোখ বুলিয়ে ছুড়ে ফেলে দিল। নার্সগুলোকে ডাকছি স্যালাইন শেষ বলে, কী বাজে ব্যবহার করছে। চিকিৎসার গাফিলতিতে এই অবস্থা হল আমার মেয়ের।” ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের সুপার মহেশ্বর মান্ডি জানান, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

Next Article