Bardhaman: পক্সো কেসে গ্রেফতার হন, সংশোধনাগারের ভিতর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার সেই শিক্ষকের মৃতদেহ

Bardhaman:

Bardhaman: পক্সো কেসে গ্রেফতার হন, সংশোধনাগারের ভিতর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার সেই শিক্ষকের মৃতদেহ
মৃত্যু শিক্ষকের Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 30, 2025 | 7:26 PM

বর্ধমান: বর্ধমান সংশোধনাগারে আত্মঘাতী এক শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। সেই শিক্ষকেরই উদ্ধার হল নিথর দেহ। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের একাংশ লোকজনের দাবি, শিক্ষককে খুন করা হয়েছে। আবার কেউ-কেউ জানালেন, সম্মানহানি মেনে নিতে না পেরেই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

মৃত ব্যক্তির নাম বয়স তেত্রিসের কাছে। বাড়ি বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বর্ধমানে একটি কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়াতেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এরপর তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগারে রাখা হয়। বুধবার সকালে হঠাৎ পরিবারের কাছে খবর যায়, সংশোধনাগারের বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

খবর পেয়ে সংশোধনাগারে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মৃতের মামা বলেন, “এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতর কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেটা প্রশ্নের। আমরা যেভাবে মৃতদেহ দেখেছি, তাতে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। তার গলায় দড়ি সামনের দিক থেকে কেটে ঢুকে গিয়েছে। মুখে মোজা গোঁজা ছিল। এটা সন্দেহজনক। আমাদের বিশ্বাস, ওকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই নিয়ে অভিযোগ জানাব। তিনি আরও অভিযোগ করেন এ বিষয়ে পুলিশ আমাকে কিছু বলতে বারণ করছে।” পরিবারের আরও অভিযোগ, যেই ছাত্রীর পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছিল, সেটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অগস্ট মাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তারা আশাবাদী ছিলেন মুক্তি পেয়ে যাবেন। এ নিয়ে এক অভিভাবক বলেন, “পুরোটাই অসম্মানের জন্য। আমার মেয়েকেও পড়াতেন। কখনও মনে হয়নি উনি এমন কাজ করতে পারেন। উনি এই সম্মানহানিটা মেনে নিতে পারেননি।”

ঘটনার পর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কীভাবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা একজন বন্দি এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন।

মৃতের বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনরা এই মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ এবং হতবাক। কেউ কেউ মনে করছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে পরিবারের একাংশ আবার পরিকল্পিত হত্যা বলেই দাবি করছেন।