
পূর্ব মেদিনীপুর: নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের লাগাতর অভিযান। শব্দবাজি,মশলা সহ সামগ্রী উদ্ধার গ্রেফতার ৯ জনের বেশি গ্রেফতার। কাঁথি সহ জেলা জুড়ে অভিযানে উদ্ধার ৩টনের কাছাকাছি সামগ্রী। বিপুল বাজি উদ্ধারেও বিপাকে জেলা পুলিশ, নষ্ট করতে দেদার খরচ গ্যাটের কড়ি!
বিগত বেশ কয়েক বছরে এগরার খাদিকূল,পাঁশকুড়া, কোলাঘাট মহিষাদলে বিভিন্ন সময়ে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক। নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযানে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। বিগত কয়েক দিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানার উদ্যোগে একাধিক জায়গায় এই বাজি অভিযান চলছে। অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি ও বাজি তৈরির কাঁচামালও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই অভিযানে এখনও পর্যন্ত মোট ৯জনের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া, কাঁথি, হলদিয়া, মহিষাদল ও তমলুক থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।সারা বছর ধরেই নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চলে। তবে দীপাবলির আগে অভিযান আরও তীব্র করা হয়েছে যাতে কোনওভাবেই অবৈধ বাজি তৈরির কারবার চলতে না পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সাত দিনেই এক টন বা হাজার কিলোর বেশি নিষিদ্ধ বাজি ও বাজি তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এগরা থানার পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৭ লক্ষ টাকার বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে, তমলুক থানায় ২৫০ কিলো, নন্দকুমারে ৭৫০ কিলো- সহ আরও বিভিন্ন থানায় বাজি উদ্ধার চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত্রে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কাঁথি থানার আই সি প্রদীপ কুমার দাঁ-এর নেতৃত্বে অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স কাঁথি থানার অন্তর্গত সাতমাইল মিল বাজার এলাকায় একটি গোডাউনে অভিযান চালান। সেই অভিযান প্রচুর বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয় যার পরিমাণ মোট ২২ বস্তা ও ৪৮টি কার্টুন বাজি
মোট ওজন প্রায় ১৫৯০ কেজি। ঘটনাস্থল থেকে পিন্টু মিদ্যা নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, এগরায় ২০২৩ সালে বাজি বিস্ফোরণে অনেক মানুষেরই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই জেলাজুড়ে প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ সতর্ক। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তবে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল বাজি নষ্ট করতেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় জেলা পুলিশের বলেও জানা গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া বাজির পরিমাণ জানাতে হয় আদালতে। আদালত নির্দেশ দিলে হলদিয়ার ‘র্যামকি কোম্পানি’ তৈরি হয়। জেলা পুলিশকে প্রতি কেজি হিসাবে টাকা দিতে হয় ওই কোম্পানিকে। প্রতি কিলো বাজি নষ্ট করতে খরচ হয় ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা, এমনটাই জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।