পুরুলিয়া: শীতের আদর গায়ে মেখে পর্যটকের ভিড় পুরুলিয়ায়। প্রচুর পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে এ জেলায়। অনেকে আবার বাঁকুড়া-পুরুলিয়া একসঙ্গেও ঘুরে নেন। এ বছর পুজোর পর থেকেই পর্যটকের ভিড় বেড়েছে জেলায়। তবে এরইমধ্যে মাওবাদীদের নামে পোস্টার ঘিরে চাপানউতর তৈরি হয়েছে। পুরুলিয়ার কোটশিলা মুরগুমা জলাধার ও সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার এই পোস্টারগুলি দেখা গিয়েছে।
আজ সকালে এলাকার কিছু লোকজনের নজরে আসে পোস্টারগুলি। খবর দেওয়া হয় থানায়। সিপিআই মাওবাদী নামে পোস্টারগুলি দেওয়া হয়েছে। ২৭ ও ২৮ তারিখ বনধে্র উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। একাধিক দাবি কথা বলা হয়েছে সেখানে। আদিবাসী ছাত্রীদের হস্টেলে ফেরানোর দাবির কথা যেমন ওই পোস্টারে আছে, রয়েছে প্রাক্তন মাওবাদীদের চাকরির দাবিও।
২৬ জানুয়ারি ছুটির দিন। প্রচুর পর্যটক এই সময়টা অযোধ্যা ও সংলগ্ন জলাধারে বেড়াতে যান। ফলে ২৬ তারিখের পরদিনই বনধে্র ঘোষণায় বাড়ছে উদ্বেগ। এলাকার লোকজনই চিন্তায়। স্থানীয় যুবক সিদ্ধেশ্বর মাহাত বলেন, “২৭-২৮ বনধ্ ডেকেছে মাওবাদীরা। অনেকদিন পর এরকম পোস্টার ঘিরে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। বনদফতরের বোর্ড লাগানো আছে। সেখানেই এই পোস্টার লাগানো হয়। ৪টে পোস্টার লাগানো হয়। এখন অনেক পর্যটক আসেন এখানে। তাঁরা যাতে কোনওভাবে আতঙ্কিত না হন, আমরা চাই প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।”
তবে পর্যটকদের অনেকেই এসব পোস্টারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দমদম থেকে বেড়াতে গিয়েছেন আনন্দময় সিংহ। তাঁর স্পষ্ট কথা, “পোস্টার নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। আমরা খুব ভাল ঘুরছি, খুব ভাল লাগছে। পুরুলিয়া বনবিভাগ খুব ভালভাবে সাজিয়ে রেখেছে এলাকা। পোস্টার নিয়ে সমস্যার কিছু নেই। পুরুলিয়া বাঁকুড়া ঘুরেছি। মুকুটমণিপুর ঘুরে এখানে এসেছি।”