পুরুলিয়া: ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে অন্যতম সাক্ষী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার এফআইআর দায়ের হল। পুলিশের বিরুদ্ধে ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণবের দাদার। নিরঞ্জনের দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে লেখা বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই নোটে পুলিশি হেনস্থা, চাপের কথা উল্লেখ ছিল। তাঁর ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করারও অভিযোগ ছিল। নিরঞ্জনের দাদার অভিযোগ, পুলিশি হেনস্থায় মানসিক চাপের জন্যই চরমতম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁর ভাই। এফআইআর কপিতে একটি স্ট্যাম্প মেরে দিয়েছেন ঝালদা থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্তা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এখন দেখার পুলিশের তরফ থেকে এই মামলায় পৃথক মামলা রুজু করা হয় কিনা। যদিও পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, যেহেতু তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই-কে তদন্তভার দিয়েছে আদালত, তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা এই মামলাটিও খতিয়ে দেখেন।
নিরঞ্জনের দাদা নেপাল বৈষ্ণব বলেন, “ওর মনে এমন একটা ভয় দানা বেঁধেছিল যে এটা করতে বাধ্য হল। পুলিশ যখন তখন এসে নিয়ে যেত। পুলিশ ভয় না দেখালে এই জিনিসটা করবে কেন?”
নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন তপন কান্দুর স্ত্রীও। পূর্ণিমার অভিযোগ, পুলিশের ধমকানি, চাপ সহ্য করতে পারেননি নিরঞ্জন। তাই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পূর্ণিমার কথায়, “নিরঞ্জনের মৃত্যু একটা রহস্য। একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানে পুলিশের চাপের কথা উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ শাসকদলের হয়েই তো কাজ করছে। সঠিক তদন্ত এক্ষেত্রেও হওয়া উচিত।” তাঁর অনুমান, নিরঞ্জন এই খুনের প্রত্যক্ষদর্শী, এমন কারোর নাম ফাঁস করে দিতে পারতেন। তাই তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। সিবিআই বিষয়টি দেখলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Jhalda Councillor Murder: তপন কান্দু হত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য