ঝালদা : ‘তৃণমূলে তো তোকে আসতেই হবে।’ ফোনে এমনটাই বলছেন কেউ। ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় এবার সামনে এল আরও একটি অডিয়ো ক্লিপ। ওই অডিয়োতে তপন কান্দুর সঙ্গে কোনও এক ব্যক্তির কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। আর সেখানে তপন কান্দুকে বলা হচ্ছে, তৃণমূলে আসতেই হবে তাঁকে। কার্যত হুমকি দেওয়া হচ্ছে তপন কান্দুকে। যদিও অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। প্রাথমিক ভাবে জানা যায় ঝালদার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এক তৃণমূল কর্মী অমল কান্দু, তপন কান্দুকে ফোন করেন। ফোনেই তিনি এই হুমকি দেন। পরে ফোন করার কথা স্বীকারও করেন অমল।
ওই অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, তপন কান্দুর সঙ্গে টাকা দেওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছে। পরে ওই অমল শাসানি দিয়ে বলেছেন, ‘মাথা খারাপ করিস না। তৃণমূলে তো তোকে আসতেই হবে।’ অডিয়ো প্রসঙ্গে অমল কান্দু জানান, নির্বাচনের সময় কোনও কর্মীকে টাকা দিয়েছিলেন তপন। আর টাকা না নিয়েও, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে অমলের বিরুদ্ধে। এটা বলতেই নাকি ফোন করেছিলেন তিনি। আর তারপরই হুমকির সুরে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। কেন ওভাবে হুমকি দিলেন, তার কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তিনি। এর আগে ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। তিনিও তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
এই অডিয়ো সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তি বেড়েছে জেলা তৃণমূলের। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, যে কোনও স্থানীয় নির্বাচনে অনেক রকমের সমীকরণ থাকতেই পারে। তবে কেউ সেই সমীকরণকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত রাগ মিটিয়ে নিচ্ছে কি না, সেটাই দেখার। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘নতুন কিছু বলার নেই। শাসক দলের লক্ষ্য, হয় তৃণমূলের দিকে আনতে হবে না হলে সরিয়ে দেওয়া হবে।’
তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের হাতে থাকা সব নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগকারী এবং মানুষের মনে আস্থা ফেরানোর জন্যই এই নির্দেশ বলে জানিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder Case: ‘তোকে তৃণমূলে আসতেই হবে’, তপন কান্দু খুনে সামনে এল চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ
ঝালদা : ‘তৃণমূলে তো তোকে আসতেই হবে।’ ফোনে এমনটাই বলছেন কেউ। ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় এবার সামনে এল আরও একটি অডিয়ো ক্লিপ। ওই অডিয়োতে তপন কান্দুর সঙ্গে কোনও এক ব্যক্তির কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। আর সেখানে তপন কান্দুকে বলা হচ্ছে, তৃণমূলে আসতেই হবে তাঁকে। কার্যত হুমকি দেওয়া হচ্ছে তপন কান্দুকে। যদিও অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। প্রাথমিক ভাবে জানা যায় ঝালদার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এক তৃণমূল কর্মী অমল কান্দু, তপন কান্দুকে ফোন করেন। ফোনেই তিনি এই হুমকি দেন। পরে ফোন করার কথা স্বীকারও করেন অমল।
ওই অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, তপন কান্দুর সঙ্গে টাকা দেওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছে। পরে ওই অমল শাসানি দিয়ে বলেছেন, ‘মাথা খারাপ করিস না। তৃণমূলে তো তোকে আসতেই হবে।’ অডিয়ো প্রসঙ্গে অমল কান্দু জানান, নির্বাচনের সময় কোনও কর্মীকে টাকা দিয়েছিলেন তপন। আর টাকা না নিয়েও, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে অমলের বিরুদ্ধে। এটা বলতেই নাকি ফোন করেছিলেন তিনি। আর তারপরই হুমকির সুরে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। কেন ওভাবে হুমকি দিলেন, তার কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তিনি। এর আগে ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। তিনিও তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
এই অডিয়ো সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তি বেড়েছে জেলা তৃণমূলের। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, যে কোনও স্থানীয় নির্বাচনে অনেক রকমের সমীকরণ থাকতেই পারে। তবে কেউ সেই সমীকরণকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত রাগ মিটিয়ে নিচ্ছে কি না, সেটাই দেখার। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘নতুন কিছু বলার নেই। শাসক দলের লক্ষ্য, হয় তৃণমূলের দিকে আনতে হবে না হলে সরিয়ে দেওয়া হবে।’
তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের হাতে থাকা সব নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগকারী এবং মানুষের মনে আস্থা ফেরানোর জন্যই এই নির্দেশ বলে জানিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder Case: ‘তোকে তৃণমূলে আসতেই হবে’, তপন কান্দু খুনে সামনে এল চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ