School Teachers: ১১ জন স্যর কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেলেন! কী করে চলবে স্কুল! কী বলছে পড়ুয়ারা

School Teachers: শীর্ষ আদালতের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। রাজ্যের একাধিক স্কুলে ধরা পড়েছে উদ্বেগের ছবি।

School Teachers: ১১ জন স্যর কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেলেন! কী করে চলবে স্কুল! কী বলছে পড়ুয়ারা
কুলতলির স্কুল পড়ুয়া

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 03, 2025 | 9:20 PM

কুলতলি: মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেয়, তারপর অনেক স্কুলেই হাহাকার পড়ে গিয়েছে। অনেক স্কুলে স্টাফরুমেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির জামতলা ভগবান চন্দ্র হাইস্কুলেও একই পরিস্থিতি। ১১ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তাঁরা কাঁদতে কাঁদতে স্কুল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলে যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বিজ্ঞান বা অঙ্কের শিক্ষক। তাদের উপর ভরসা করেই স্কুলে সায়েন্সের পড়াশোনা চলছে গত তিন বছর ধরে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে চলছে পরীক্ষা। তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১১ জন শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কুলতলী বিধানসভার জামতলা ভগবান চন্দ্র হাই স্কুল।

প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল জানান, কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে স্কুল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন শিক্ষকরা। এর মধ্যে স্কুলে পরীক্ষা চলছে। আগামিদিনে কীভাবে স্কুল চলবে, তা নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন বাকি শিক্ষকরা। কুলতলির এই স্কুলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে। কুলতলির মতো প্রত্যন্ত এই এলাকায় বিজ্ঞান বিভাগ কীভাবে চলবে তা নিয়ে চিন্তায় ছাত্রীরাও। স্কুলের ছাত্রী তমান্না ঢালি বলছে, ‘১১ জন স্যরের চাকরি চলে গিয়েছে। পড়াশোনায় খুব অসুবিধা হবে।’

প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল বলেন, “রায় সম্পর্কে কিছু বলার নেই। কিন্তু আগামিদিনে স্কুল চালানো কী করে সম্ভব জানি না।” প্রধান শিক্ষকের দাবি, সবাই যোগ্য ছিলেন। অধিকাংশই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা। দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতেন তাঁরা।