Ganga Sagar: কপিলমুণির আশ্রম গঙ্গার গর্ভে চলে যেতে পারে! সতর্কবার্তা পেয়ে ছুটলেন IIT আধিকারিকরা

Shuvendu Halder | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 27, 2024 | 12:44 PM

Ganga Sagar: গত কয়েকদিন ধরে সাগরমেলার ১ থেকে ৫ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত সমুদ্রতটে ভয়াবহ ভাঙন হয়। পূর্ত দফতরের একটি কংক্রিটের রাস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলের লাইন, অস্থায়ী দোকান, গাছ পর্যন্ত সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে।

Ganga Sagar: কপিলমুণির আশ্রম গঙ্গার গর্ভে চলে যেতে পারে! সতর্কবার্তা পেয়ে ছুটলেন IIT আধিকারিকরা
ফাইল ছবি
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

গঙ্গাসাগর: রাজ্যের অন্যম তীর্থ তথা পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগর। প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় বহু তীর্থযাত্রী সেই মেলায় যান। লক্ষ লক্ষ মানুষ মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুব দেন পূণ্য অর্জনের আশায়, পুজো দেন কপিলমুনির আশ্রমে। গত কয়েক বছরে সেই গঙ্গাসাগরে যাত্রীদের কথা ভেবে অনেক থাকার জায়গাও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, সেই সাগরেও দেখা দিয়েছে বিপদ। আইআইটি-র শরণাপন্ন হতে হয়েছে।

জানা গিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিচ্ছে সাগরে। সেই ভাঙন রুখতে এবার সাহায্য নেওয়া হবে চেন্নাই আইআইটি-র। অতীতেও এই ভাঙনের জন্য চেন্নাই আইআইটি-র সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এবার আরও খারাপ হচে শুরু করেছে।

গত কয়েকদিন ধরে সাগরমেলার ১ থেকে ৫ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত সমুদ্রতটে ভয়াবহ ভাঙন হয়। পূর্ত দফতরের একটি কংক্রিটের রাস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলের লাইন, অস্থায়ী দোকান, গাছ পর্যন্ত সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে ভাঙন রুখতে না পারলে কিছুদিনের মধ্যে কপিলমুনির আশ্রমও তলিয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’‌দিন ধরে ভাঙন এলাকায় সমীক্ষা শুরু করেছে সেচ ও সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। ভাঙন এলাকা থেকে মাটি ও বালি সংগ্রহ করা হয়েছে। জোয়ার ও ভাগটার সময় কতটা জলস্ফীতি হচ্ছে তাও পরিমাপ করার কাজ চলছে। এই কারণে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে উপগ্রহ-‌চিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

আগামী সাগরমেলার আগে কীভাবে এই ভাঙন রোধ করা যায় সেই পরিকল্পনা করছে সেচ দফতর। এই দু’‌দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করা হবে সেচ দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে। তবে এলাকার ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক বাড়ছে আরও দুটি বড় কোটাল নিয়ে। দুটি কোটালে আরও বেশ কিছুটা এলাকা সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।

Next Article