বেজিং: বান্ধবীকে বাবার সঙ্গে পরিচয় করাতে এনেছিলেন। কিন্তু, তার পরিণতি যা হল, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি যুবক। বাবার পরামর্শে যে বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলেন, সেই যুবতীই হয়ে গেলেন তাঁর সৎ মা। ঘটনাটি চিনের। বাবার এই ‘কীর্তি’-তে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল ছেলেকে।
নিজের ছেলের প্রাক্তন বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন লিউ লিয়াংঘে নামে এক ব্যক্তি। তিনি ব্যাঙ্ক অব চায়নার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। পদের অপব্যবহার করে ১৪১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। অভিযোগ, অবৈধভাবে ৩ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছেন তিনি। আপাতত ২ বছর তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। তবে তিনি ঘুষকাণ্ডের জন্য সংবাদ শিরোনামে আসেননি। তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করার জন্য।
চিনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২৩ সালে চতুর্থবার বিয়ে করেন লিউ। তারপরই তিনি ঘুষকাণ্ডে ধরা পড়েন। তখনই তাঁর চতুর্থ বিয়ের নেপথ্য কাহিনি জানা যায়। লিউয়ের পুত্র এক যুবতীকে ভালবাসতেন। তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। নিজের বান্ধবীকে বাবার সঙ্গে পরিচয় করাতে নিয়ে আসেন তিনি।
ওই যুবতীকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় লিউয়ের। তখন ছেলেকে তিনি বলেন, ওই যুবতী গরিব পরিবারের মেয়ে। তাঁদের সম্পত্তি দেখে প্রেমে পড়েছে। ওই যুবতী তাঁর জন্য উপযুক্ত নয় বলে ছেলেকে বোঝান লিউ। অনিচ্ছাসত্ত্বেও বাবার কথা শুনে বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন লিউয়ের পুত্র। এরপর নিজের বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়েও দেন লিউ।
ছেলের বিয়ের পরই তাঁর প্রাক্তন বান্ধবীর ঠিকানা খুঁজে বের করেন লিউ। ওই যুবতীকে দামি দামি গিফট পাঠাতে শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই লিউয়ের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ওই যুবতী। প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ৬ মাসের মধ্যে তাঁর বাবাকে বিয়ে করেন।
লিউয়ের ছেলে যখন জানতে পারেন, তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী এখন তাঁর সৎ মা, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এদিকে, চতুর্থ বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যাঙ্কে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে লিউয়ের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে মৃত্যদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। তবে আপাতত ২ বছর সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ রয়েছে।