China Artificial Sun: চিনের আকাশে এবার উঠবে ‘নকল সূর্য’? এ কী কাণ্ড শি’য়ের বিজ্ঞানীদের?

Avra Chattopadhyay |

Jan 25, 2025 | 7:25 PM

China Artificial Sun: তাদের আশঙ্কা যে দিকে পৃথিবী এগোচ্ছে, যা খুশি তাই ঘটতে পারে। এমন একদিন সময় আসতেই পারে যখন সূর্য নিজের শক্তি হারিয়ে ফেলবে। সেই সময়ের জন্যই আগাম প্রস্তুতি নিতে এই নকল বা কৃত্রিম সূর্য বানানোর মিশনে নেমে ছিল তারা।

China Artificial Sun: চিনের আকাশে এবার উঠবে নকল সূর্য? এ কী কাণ্ড শিয়ের বিজ্ঞানীদের?
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
Image Credit source: Muhammed Abdullah Kurtar/Anadolu via Getty Images) | PTI

Follow Us

বেজিং: বলা হয়, এই পৃথিবীর সকল শক্তির মূল উৎস সূর্য। যা হয়তো কখনওই নিভে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সত্যি যদি এমনটা হয়? হঠাৎ একদিন উঠে দেখলেন সূর্যের তেজ ক্রমশ কমে যাচ্ছে, কী হবে তখন? সূর্য নিভে গেলে এই ধরিত্রীতে কি আর কোনও প্রাণ থাকতে পারবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্য বিনা প্রাণের অস্তিত্ব প্রশ্নে চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে। কারণ, সূর্য নিভে গেলে শক্তি বাড়বে শীত প্রবাহের। ঠান্ডায় বরফে ঢেকে যাবে গোটা দুনিয়া। আর যদি সেটা না হয় তবে ভিটামিন ডি-এর অভাব শুরু হবে শরীরে। যার জেরে দেহের একটার পর একটা হাড়, নিজের শক্তি হারাবে।

কিন্তু এসব গল্প কথা। বাস্তবে হয়তো কখনওই সূর্য নিভে যাবে না। আর যদি নিভে যায়, তবে চিন কিন্তু নিজেদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থাটা করে ফেলেছে। আস্ত একটা নকল সূর্য বানিয়ে ফেলেছে শিয়ের বিজ্ঞানীরা। এমনিতেই নকল জিনিস তৈরিতে ওস্তাদ তারা। বিশ্বের বড় বড় সংস্থার নামীদামি পণ্যের প্রতিরূপ তৈরি করে ইতিমধ্যে গোটা দুনিয়া জুড়ে বিরাট ব্যবসা তৈরি করে ফেলেছে চিন। এবার শক্তির মূল উৎস, সূর্যের নকল বানিয়ে ফেলল তারা।

কিন্তু কী দরকার ছিল এই সূর্যের?

তাদের আশঙ্কা যে দিকে পৃথিবী এগোচ্ছে, যা খুশি তাই ঘটতে পারে। এমন একদিন সময় আসতেই পারে যখন সূর্য নিজের শক্তি হারিয়ে ফেলবে। সেই সময়ের জন্যই আগাম প্রস্তুতি নিতে এই নকল বা কৃত্রিম সূর্য বানানোর মিশনে নেমে ছিল তারা। আর যতদিন সূর্য নিজের শক্তি না হারাচ্ছে, তত দিন এই নকল সূর্যকে ব্যবহার করে পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াই দেশজুড়ে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে পারবে চিন।

সম্প্রতি, ১০০০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় প্লাজমা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে চিনের এই কৃত্রিম সূর্য। যার মাধ্যমে ১০ কোটি ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা তৈরি করা গিয়েছে। আসলে এই প্লাজমা যতক্ষণ বেশি ধরে রাখা সম্ভব হবে, তত বেশি পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করা যাবে। এর আগে ২০২৩ সালে একটি পরীক্ষায় মোট ৪০৩ সেকেন্ড পর্যন্ত প্লাজমা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল তারা। দু’বছর কাটতেই এবার বড় সাফল্য।

Next Article