China: ধরা দেবে না কোনও র্যাডারে, লেসার দিয়ে ধ্বংস করবে উপগ্রহও! এ কোন মারণাস্ত্র তৈরি করল চিন?
White Emperor: হোয়াইট এম্পারারে রয়েছে লেসার ওয়েপন ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ। যা কিনা মহাকাশে শত্রুর গুপ্তচর উপগ্রহকেও ধ্বংস করে দিতে পারবে। দেখতেই পাচ্ছেন এই যুদ্ধবিমানের গঠন অন্যান্য ফাইটার জেটের তুলনায় অনেকটাই আলাদা।
বেজিং: চমকে দিল চিন। চমকে দিল মানে দুনিয়া হতভম্ব হয়ে গেছে। আমেরিকার চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। কেন? আগেই দেখা গিয়েছিল যে চিন কীভাবে জ্যান্ত মানুষকে অদৃশ্য করে দিচ্ছে। এবার আরেক ভেলকি। চিনের গুয়াংডং প্রদেশে লালফৌজ একটা এয়ার শোয়ের আয়োজন করেছিল। সেখানে ওরা আকাশে উড়িয়েছে হোয়াইট এম্পারার। এতদিন আমরা জানতাম কোনও বিমান বায়ুমণ্ডলের বাইরে যেতে পারে না। বিমান যে প্রযুক্তিতে ওড়ে, তার নাম এয়ারোডায়নামিক্স। বাংলায় বলতে পারেন বায়ুগতিবিদ্যা। নামেই পরিষ্কার যে বিমান ওড়ার জন্য বায়ু থাকা
দরকার। আর বায়ুমণ্ডলের বাইরে মহাকাশে যেতে হলে দরকার হয় একটা এসকেপ ভেলোসিটি বা মুক্তিবেগের। পৃথিবীর এসকেপ ভেলোসিটি ঘণ্টায় ৪০ হাজার কিলোমিটার। যেটা রকেটের থাকে। বিমানের নয়। শব্দের চেয়েও বেশি গতির বিমান হয় বটে। কিন্তু শব্দের গতি ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে বারোশো কিলোমিটার। বুঝতেই পারছেন যে মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটাতে এসকেপ ভেলোসিটির সঙ্গে তুলনাতেই আসে না। এবার সেটাই করে দেখিয়েছে চিনের হোয়াইট এম্পারার।
বিশ্বের প্রথম ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। লালফৌজ একে চিনা ভাষায় বাইদি নামেও ডাকছে। ইংরেজিতে যার মানে হল হোয়াইট ল্যান্ড। চিনের দাবি এই বিমান বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে উড়ে যেতে পারবে মহাকাশে। মহাকাশ থেকে নিখুঁত
লক্ষ্যে আঘাত হানবে পৃথিবীতে থাকা যে কোনও লক্ষ্যে। এমন বিমান তৈরির দাবি আগে কেউ কোনওদিন করেনি। তাই দুনিয়া হতভম্ব হয়ে গিয়েছে।
চিন বহুদিন ধরেই ফাইটার জেট নিয়ে নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাচ্ছে। ন্যান্টিয়ানমেন প্রজেক্ট বলে ওরা। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের দাবি, তাদের দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অফ চায়না এই নতুন স্পেস এয়ার ফাইটার তৈরি করেছে। যেটাকে কোনও রেডার শনাক্ত করতে পারবে না।
মিসাইল তো সেকেলে ব্যাপার। হোয়াইট এম্পারারে রয়েছে লেসার ওয়েপন ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ। যা কিনা মহাকাশে শত্রুর গুপ্তচর উপগ্রহকেও ধ্বংস করে দিতে পারবে। দেখতেই পাচ্ছেন এই যুদ্ধবিমানের গঠন অন্যান্য ফাইটার জেটের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। ফলে, একে নিয়ে দুনিয়াজুড়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে অবশ্য এই সবই ফাঁকা আওয়াজ। বিমানকে মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে এমন ইঞ্জিন চিনের পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয়। মার্কিন ডিফেন্স এক্সপার্টদের অনেকে আবার বলছেন তাঁদের দেশের সংস্থা লকহিড মার্টিন শব্দের চেয়ে ৬ গুণ বেশি গতির ব্ল্যাকস্টার ড্রোন তৈরি করছে। চিনা বিমান মহাকাশে পৌঁছনোর আগেই ওই ড্রোন তাকে ধ্বংস করে দেবে। তবে, কেউই কিন্তু এককথায় চিনের দাবিকে বোগাস বলে উড়িয়ে দিতে পারছেন না।
এই বিষয়ে ডিআরডিও-র একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী বলেন যে আমাদের এনিয়ে চিন্তা করার
কিছু নেই। কারণ, চিন যদি পৃথিবীর লোয়ার অরবিটে থাকা ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহগুলোকে নিশানা করে, তাহলে মিসাইল ছুঁড়ে চিনের স্যাটেলাইট ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে ভারতেরও। তবে, এই ধরনের যাবতীয় কিন্তু-পরন্তু বাদ দিয়ে বলা যায়, চিনের নতুন বিমান, এশিয়া-প্যাসিফিকে আগামীদিনে কী হবে, সে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বায়ুসেনার মতো লালফৌজের নৌ-সেনাও দিনে দিনে যেভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পশ্চিমী দুনিয়া।