বুলগেরিয়া: যা বলেছেন, সবই ফলেছে অক্ষরে অক্ষরে। বহু দশক আগেই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা বলে গিয়েছেন। বছর বছর সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্য়ি প্রমাণিত হয়েছে। কথা হচ্ছে বাবা ভাঙ্গা ও নসট্রাদামুসের। এই দুজনই তাদের নিখুঁত ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য পরিচিত। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে শুরু করে যুদ্ধ, মহামারি- ৮০ ও ৯০-র দশকে যা যা বলে গিয়েছিলেন, ত একবিংশ শতাব্দীতে প্রতিনিয়ত সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। আর দুই মাস পরই নতুন বছর। ২০২৪ সালে বাবা ভাঙ্গা ও নসট্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী ফলে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই ভয় ধরাচ্ছে ২০২৫ সালের ভবিতব্য নিয়ে। কী এমন বলে গিয়েছেন ভবিষ্যত দেখতে পাওয়া এই দুই ব্যক্তি?
চোখে দেখতে পেতেন না বাবা ভাঙ্গা। বুলগেরিয়ার এই দৈবশক্তিধারী মহিলা ১৯৯৬ সালে মারা যান। কিন্তু তার আগে একবিংশ শতাব্দীরও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। ৯/১১ হামলা থেকে শুরু করে প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু, চেরনোবিল বিপর্যয়, এমনকী ব্রেক্সিট সম্পর্কেও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন, যা অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
২০২৫ সালের ভবিষ্যদ্বাণীর আগে ২০২৪ সালে কী কী কথা মিলেছে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
বাবা ভাঙ্গা ও নসট্রাদামুস বলেছিলেন, এই বছরে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে মানুষ যোগাযোগ করবে। এ বছরে সত্যিই মেক্সিকোর সংসদে এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের দেহ প্রদর্শন করানো হয়, যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপরে আততায়ী হামলার কথাও বলে গিয়েছিলেন এরা, যা সত্যি হয়েছে। একইসঙ্গে ইউরোপে জঙ্গি হানা এবং যুবরাজ চার্লসের রাজগদিতে বসার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যা অক্ষরে অক্ষরে মিলেছে।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ইউরোপে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হবে, যার জেরে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রচুর প্রাণহানি হবে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বাদে অন্য দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ বাধবে। টেলিপ্যাথিতে বড় আবিষ্কার, যা বিনা বাক্যব্যয়ে মস্তিষ্ক থেকে অপর মস্তিষ্কে যোগাযোগ করাবে, এমন কিছু হতে পারে।
একইভাবে নসট্রাদামুসও বলে গিয়েছেন, ইউরোপের ভবিষ্যত অন্ধকার। ভয়ঙ্কর যুদ্ধ থেকে প্রাচীন কালের মতো আবার প্লেগ ছড়িয়ে পড়বে, যার জেরে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন নসট্রাদামুস। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, দুই দেশই যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে হার মানবে। তবে এই শান্তি ক্ষণস্থায়ী হবে। একইসঙ্গে ব্রাজিলে আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠা, ভয়ঙ্কর বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়েরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
এবার বাবা ভাঙ্গা ও নসট্রাদামুসের এই ভবিষ্যদ্বাণী কতটা সত্যি হয়, তা ২০২৫ সালেই জানা যাবে।