ওয়াশিংটন: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) যতদিন মসনদে থাকবেন আমেরিকার বিপদ তত বাড়বে। এই মর্মে মেয়াদের আগেই ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। উত্তরে পেন্স অবশ্য লিখেছেন, তিনি ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে নয়। কিন্তু মার্কিন ক্যাপিটল হামলায় ট্রাম্পকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর বিরুদ্ধে বুধবার হাউসে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনছে ডেমোক্র্যাটরা।
শুধু ডেমোক্র্যাটরাই নয়, ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন একাধিক রিপাবলিকান নেতাও। তাই মেয়াদের ৮ দিন আগে ট্রাম্পকে হঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবনায় ভোটাভুটি হবে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে। হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ডেমোক্র্যাটদের, তাই সহজেই সেখানে পাস হয়ে যাবে ইমপিচমেন্ট বিল। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। হাউসের পর সেনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেলে তবেই মার্কিন সংবিধানের ২৫-তম সংশোধন প্রয়োগ করে ইমপিচ করা যাবে ট্রাম্পকে।
জো বাইডেন শপথ নিলে সেনেটের প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা হ্যারিস, তখন সেনেটেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে ডেমোক্র্যাটদের। তবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট বিল এখনই সেনেটে পাস হতে পারবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ থেকে যে রিপাবলিকান দল বেরোতে শুরু করেছে তার প্রমাণ মিলেছে একাধিক রিপাবলিকান নেতার বক্তব্যেই। শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। যার মাধ্যমে জিইয়ে থাকছে ইমপিচমেন্টের সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: করোনায় কুপোকাত চিন, ৪ শহরে জারি লকডাউন
তবে ট্রাম্প অবশ্য এখনও নিজের বক্তব্যকে উস্কানি মানতে নারাজ। তাঁর মতে, তিনি যা বলেছেন একেবারে ঠিক বলেছেন। কিন্তু সেনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক সুমার জানিয়েছেন, সেনেটেও আসবে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। সেক্ষেত্রে যদি ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস হয়ে যায়, তাহলে কোনও সরকারি পদে ভবিষ্যতে বসতে পারবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। জলাঞ্জলি হবে ২০২৪-এ নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনাও।