ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর রোগ, শরীরে বাসা বাঁধছে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া, ৪৮ ঘণ্টাতেই মৃত্যু নিশ্চিত!

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jun 16, 2024 | 9:22 AM

Streptococcal Toxic Shock Syndrome: এক গবেষক বলেন, "এই রোগে আক্রান্ত হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। এই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করলে, ধরা যাক রোগী সকালে লক্ষ্য করলেন যে পা ফুলে গিয়েছে। দুপুরের মধ্যে তা হাঁটু পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমণে মৃত্যু হতে পারে।"

ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর রোগ, শরীরে বাসা বাঁধছে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া, ৪৮ ঘণ্টাতেই মৃত্যু নিশ্চিত!
প্রতীকী চিত্র
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

টোকিয়ো: শরীরের ভিতর থেকে কুড়ে কুড়ে মাংস খেয়ে ফেলছে ব্যাকটেরিয়া! একবার শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া ঢুকলে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। ভয়ঙ্কর এমনই এক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে জাপানে। চলতি বছরেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুইছুই। মারণ এই ব্যাকটেরিয়াকে ঘিরে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশে।

বিরল রোগ স্ট্রেপটোকোকাল টক্সিক শক সিনড্রোম (streptococcal toxic shock syndrome)। এক ধরনের মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া থেকেই এই রোগ হয়। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইনফেকশিয়াস ডিজিজ-র তরফে জানানো হয়েছে, ২ জুন পর্যন্ত জাপানে ৯৭৭ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। গত বছর জাপানে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪১ জন।

চিকিৎসক-গবেষকরা জানিয়েছেন, স্ট্রেপটোকোকাল টক্সিক শক সিনড্রোম এমনই এক ভয়ঙ্কর রোগ, যা আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। গ্রুপ এ স্ট্রেপটোককাস (GAS) রোগে মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হয়। স্ট্রেপ থ্রোট-ও বলা হয় একে। এই সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ হল গলা ব্যথা বা গলা ফুলে যাওয়া। কিন্তু দ্রুত শারীরিক অবনতি হতে থাকে। হাত-পায়ের পেশীতে ব্য়থা, ফুলে যাওয়া, জ্বর, রক্তচাপ কমে যাওয়ার পর উপসর্গ দেখা যায়। শেষ পর্যায়ে নেক্রোসিস (কোষের মৃত্যু), শ্বাসকষ্ট, অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া এবং মৃত্যু হয়। পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

টোকিয়ো ওমেন্স মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষক বলেন, “এই রোগে আক্রান্ত হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। এই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করলে, ধরা যাক রোগী সকালে লক্ষ্য করলেন যে পা ফুলে গিয়েছে। দুপুরের মধ্যে তা হাঁটু পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমণে মৃত্যু হতে পারে।”

২০২৪ সালে জাপানে এই বিরল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০০ পার করতে পারে বলেই শঙ্কা গবেষকদের। এই রোগে মৃত্যুহারও ভয় ধরানোর মতো। ৩০ শতাংশ রোগীরই মৃত্যু হয়। এই মারণ ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচতে নিয়মিত ভালভাবে হাত ধোয়া এবং কোনও খোলা ক্ষতস্থান থাকলে, তার চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Next Article