লন্ডন: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের কথা মনে আছে? প্রেমিকাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল প্রেমিক আফতাব। এক মাস ধরে দিল্লির নানা প্রান্তে সেই দেহের টুকরো ফেলে এসেছিল। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল এবার। তবে এবারে বীভৎসতা আরও বেশি। নিজের স্ত্রীকে কুুপিয়ে খুন করলেন ২৮ বছরের এক যুবক। এরপর স্ত্রীয়ের দেহ ২২৪ টুকরো করে ভাসিয়ে দিলেন নদীতে।
এবার দেশে নয়, বিদেশের মাটিতে ঘটল এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ব্রিটেনে এক যুবকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুন করে, তার দেহ টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে হলি ব্রামলি (২৬) নামক ওই যুবতী মার্চ মাস থেকে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন আগে সে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। জানিয়েছিল, তাঁর স্বামী পোষা হ্যামস্টারকে ব্লেন্ডার ও মাইক্রো ওভেনে ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছে। পোষ্য কুকুরকেও ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে, মেশিন অন করে দিয়েছিল। কুকুরটিরও মৃত্যু হয়েছে। যুবতীর পোষ্য খরগোশকেও মেরে ফেলতে চায় তাঁর স্বামী, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছিল।
রুটিন নজরদারি করতেই গত ২৪ মার্চ পুলিশ যুবতীর বাড়িতে পৌঁছলে অভিযুক্ত যুবক জানায়, স্ত্রী বাড়িতে নেই। সে স্ত্রীর উপরে অত্যাচার করে না, বরং স্ত্রী-ই তাঁর উপর অত্যাচার করত। নিজের হাতে কামড়ের দাগও দেখায়। কিছুদিন বাদে কাছেরই একটি নদীতে ভেসে ওঠে কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ। সেই প্যাকেট থেকে একটি কাটা হাত ও মুণ্ড উদ্ধার হয়। এরপরই নদীতে চিরুণি তল্লাশি শুরু হয়। উদ্ধার হয় আরও প্যাকেট। এভাবেই উদ্ধার হওয়া প্যাকেটগুলি থেকে মোট ২২৪ টুকরো দেহের অংশ উদ্ধার হয়। এখনও কিছু অংশ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ মেটসন ব্রামলির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে, বাথটাব থেকে রক্তমাখা চাদর উদ্ধার করে। প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত। তবে কীভাবে খুন করেন স্ত্রীকে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ অভিযুক্ত। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী হলিকে বেডরুমে কুপিয়ে খুন করে মেটসন। এরপর দেহটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে কেটে কেটে টুকরো করে। এরপর সেই দেহের টুকরো প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে। এক সপ্তাহ পরে এক বন্ধুকে ৫০ পাউন্ড দেন ওই প্যাকেটগুলি নদীতে ফেলার জন্য।
জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে খুনের পর অভিযুক্ত যুবক গুগলে সার্চ করেন, “স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর কী কী সুবিধা পাওয়া যায়”, “মৃত্যুর পর কী আত্মা তাড়া করতে পারে?”।