Donald Trump: ব্যক্তিগত আক্রোশেই ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প! কারণটা অবাক করে দেবে…

US Tariff on India: আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক তথা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি জেফারিজের রিপোর্টে দালি করা হয়েছে, ভারতের উপরে আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পিছনে রয়েছে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কারণ।

Donald Trump: ব্যক্তিগত আক্রোশেই ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প! কারণটা অবাক করে দেবে...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।Image Credit source: PTI

|

Aug 30, 2025 | 7:38 AM

ওয়াশিংটন: বাণিজ্যে সমতা বা ভারত বেশি হারে শুল্ক নেয় বলে নয়, হঠাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের উপরে শুল্ক ৫০ শতাংশ করে দেওয়ার আসল কারণ কী, তা ফাঁস করে দিলেন মার্কিন মুলুকের একটি কোম্পানিই। এবং কারণটা অবাক করে দেওয়ার মতো।

আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক তথা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি জেফারিজের রিপোর্টে দালি করা হয়েছে, ভারতের উপরে আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পিছনে রয়েছে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কারণ। গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যখন সংঘাত হয়েছিল, সেই সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। আর সেই রাগেই ট্রাম্প রাতারাতি ভারতের উপরে দ্বিগুণ শুল্ক চাপিয়েছেন।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “এই শুল্ক আসলে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল, কারণ তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এই টানাপোড়েন শেষ করায় নিজের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে দেওয়া হয়নি।”

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কমপক্ষে ৪০ বার দাবি করেছেন যে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত পরমাণু যুদ্ধের রূপ নিতে পারত। তিনিই সেই সংঘাত আটকেছেন। তবে ভারত সাফ জবাবে জানিয়েছে, কোনও মধ্যস্থতায় সংঘাত থামেনি। পাকিস্তানের তরফে অনুরোধ আসার পরই সংঘর্ষবিরতি হয়েছে। পাকিস্তান ইস্যুতে কারোর মধ্যস্থতা গ্রহণ করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে। তারপরও থামেননি ট্রাম্প। কখনও নিজে, কখনও বা হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্য়ারোলিন লেভিটকে দিয়ে বলিয়েছেন যে সংঘর্ষ থামানোর জন্য ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত। সংঘর্ষবিরতির দাবি করার আসল কারণ এটাই।

ভারতের উপরে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তি দিয়েছিলেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ভারত রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কিনেছে, যেখানে আমেরিকা সহ বাকি দেশ রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে তাদের চাপে রাখার চেষ্টা করছিল। তবে তথ্য বলছে, ভারতের থেকেও বেশি পরিমাণে রাশিয়া থেকে তেল কেনে চিন। তাদের উপরে এমন কোনও অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হয়নি।