AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অবিলম্বে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মেটাতে হবে ‘সাহারাশ্রী’ সুব্রত রায়কে, নতুবা ফের টানবেন জেলের ঘানি

প্যারোলে মুক্ত 'সাহারাশ্রী'-কে নতুন করে হাজতবাস এড়াতে অবিলম্বে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। অন্যথায় প্যারোলে বাতিল হওয়ার পাশাপাশি ফের জেলে যেতে হবে সুব্রত রায়কে

অবিলম্বে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মেটাতে হবে 'সাহারাশ্রী' সুব্রত রায়কে, নতুবা ফের টানবেন জেলের ঘানি
Sebi on subrata roy
| Updated on: Nov 27, 2020 | 7:35 AM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: অর্থলগ্নিকারী সংস্থা সাহারা-র (Sahara) কর্ণধার সুব্রত রায়ের (Subrata Roy) জন্য বিপদ বাড়তে চলছে। সম্প্রতি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি) (SEBI) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি হলফনামা জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্যারোলে মুক্ত ‘সাহারাশ্রী’-কে নতুন করে হাজতবাস এড়াতে অবিলম্বে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। অন্যথায় প্যারোলে বাতিল হওয়ার পাশাপাশি ফের জেলে যেতে হবে সুব্রত রায়কে। সেবি-র এই দাবিক যদিও ‘অন্যায্য’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে সাহারা-র পক্ষ থেকে। মার্কেট রেগুলেটরি বোর্ড ‘রহস্যজনকভাবে’ ১৫ শতাংশ সুদ জুড়ে এই হিসেব দেখিয়েছে বলে দাবি সাহারা-র।

২০১২ সালে শীর্ষ আদালত এক রায়ে জানিয়েছিল, সাহারা গ্রুপ অব কোম্পানিজ নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে ৩৫০ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে। সমাজের এমন শ্রেণির মানুষ যাঁরা তখন ব্যাঙ্কিং সুবিধার আওতাভুক্ত হননি, তাঁরা কম সময় স্বল্প বিনিয়োগ করে বেশি সুদ পাওয়ার ‘আশায়’ এই সংস্থায় টাকা ঢেলেছিলেন। কম থেকে বেশি পরিমাণে টাকা জমা দিয়েছেন এমন সংখ্যক ভারতবাসীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ ছিল বললে ভুল হবে না। বহু চেষ্টা করেও সেবি সেই সকল বিনিয়োগকারীদের সঠিক সন্ধান পায়নি। এরপর একাধিক সতর্কবার্তা সত্ত্বেও টাকা ফেরত না পারায় সুব্রত রায়কে জেলে পাঠানো হয়। তবে ২০১৬ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যান তিনি।

সুদ-সহ ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার জন্য সেবি-র নোটিস সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ার পর বৃহস্পতিবার ই-মেল মারফৎ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সাহারা। সেখানেই সেবি-র নোটিসে যোগ হওয়া ১৫ শতাংশ সুদকে ‘রহস্যজনক’ বলে দাবি হয়। সাহারা-র আরও দাবি, ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সকল লগ্নিকারীদের টাকা। তাই দ্বিগুণ টাকা দিতে নারাজ তারা। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে বেআইনি লগ্নি এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে দোষী প্রমাণ হওয়ার সময় সুব্রত রায়ের বকেয়া টাকা পরিমাণ ছিল ২৫,৭০০ কোটি। সেটাই এখন বাড়তে বাড়তে প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে। সুব্রত রায় এখনও পর্যন্ত ১৫,০০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন বলে সেবি আদালতকে জানিয়েছে। তবে নতুন নোটিসের প্রেক্ষিতে কবে শুনানি হবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়।

আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া সিবিআইয়ের তদন্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী: সুপ্রিম কোর্ট

‘সাহারাশ্রী’ নামে পরিচিত সুব্রত রায়ের ব্যবসায়িক জীবনের ওঠানামা রোমহর্ষক থ্রিলার ছবির থেকে কিছু কম না। একসময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি থেকে শুরু করে আকাশে উড়তে থাকা বিমান; সবেতেই সাহারার লোগো দেখা যেত। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ, যে কোনও রাশির অর্থ লগ্নি করার সবচেয়ে ‘ভরসা’র জায়গা হয়ে উঠেছিল সাহারা। রাতারাতি ভারতের অন্যতম ‘বিজনেস টাইকুন’ হয়ে উঠেছিলেন সুব্রত রায়। তাঁকে গরিব ভারতীয়দের ‘মহিসা’ বলেও ডাকা হত। তবে ২০১২ সালের পর থেকেই এই সংস্থা ভারতের মার্কেট রেগুলেটরি বোর্ডের নজরে লগ্নির ক্ষেত্রে বহু অনিময় ধরা পড়তে শুরু করে। ২০১৪ সালের ৪ মার্চ তিহার জেলে যেতে হয় তাঁকে।