নাম না করে দলীয় বিধায়কদের ‘শয়তান’ আখ্যা দিলেন বিপ্লব দেব
নাম না করে নিজের দলের বিধায়কদেরই 'শয়তান' আখ্যা দিয়েছেন বিপ্লব দেব, বিগত কয়েক মাস ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বিপ্লব দেবের উপস্থিতি 'নাখোশ' রেখেছে দলীয় বিধায়কদের একটা বড় অংশকে। তাঁরা অবিলম্বে নেতৃত্ব বদলের দাবি জানাচ্ছেন
TV বাংলা ডিজিটাল: কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Dev) । তখন থেকেই মন্ত্রিসভা ও দলীয় বিধায়কদের অন্দরে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমতে শুরু করে। এমনকী সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে বিপ্লব দেবের নামে নালিশ করতে দিল্লিও পৌঁছে গিয়েছিলেন ত্রিপুরা বিজেপি (Tripura BJP) -র কয়েকজন প্রথম সারির নেতা। তারপর প্রায় মাসখানেক সময় কেটে গেলেও পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক হয়নি, তা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। নাম না করে নিজের দলের বিধায়কদেরই ‘শয়তান’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
বিগত কয়েক মাস ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বিপ্লব দেবের উপস্থিতি ‘নাখোশ’ রেখেছে দলীয় বিধায়কদের একটা বড় অংশকে। তাঁরা অবিলম্বে নেতৃত্ব বদলের দাবি জানাচ্ছেন। দিল্লি থেকে ‘অবস্থা খতিয়ে দেখার’ আশ্বাস দেওয়া হলেও হাতে-কলমে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ফলে সময় যত এগোচ্ছে, ‘বিদ্রোহ’-ও বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্ত্রিসভার অন্দরে। সম্প্রতি বিপ্লব দেব বিরোধী শিবিরকে খুল্লমখুল্লা সমর্থন জানিয়ে অসন্তোষের আগুনে ঘি ঢেলেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুকুমার দেববর্মণ। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিপ্লব দেব।
আরও পড়ুন: ‘লভ জেহাদ’-এর বিরুদ্ধে অধ্যাদেশ আনছেন যোগীও, বিরোধীরা বলল, বিভেদ তৈরির চেষ্টা
কারোর নাম না নিলেও প্রকারন্তরে নিজের দলের নেতাদের দিকেই ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘সব শয়তানরা যখন এক হয়ে যায়, তখন বুঝতে হয় রাজা সঠিন পথে চলছেন। শয়তানেরা যদি প্রশংসা করে, বুঝবেন রাজা সঠিক পথে চলছেন না।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই তাঁকে ‘স্বঘোষিত রাজা’ বলে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী শিবিরের বিধায়করা। রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা আগরতলা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণের মস্করা, ‘পাগলের হাতে কুড়াল দিলে যা হয় সর্বনাশের খেলা। রাজা তোর রাজ সভাতে পাগলের মেলা।’