AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভারতীয় মেয়েকে বিয়ে করে এ দেশেই থেকে যান বাইডেনের ‘গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট গ্র্যান্ডফাদার’

ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করে পাকাপাকি ভাবে ভারতেই থেকে যান জর্জ। অর্থাৎ সম্পর্কের কঠিন জালে বাইডেনেরও ভারত যোগ।

ভারতীয় মেয়েকে বিয়ে করে এ দেশেই থেকে যান বাইডেনের 'গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট গ্র্যান্ডফাদার'
ফাইল চিত্র
| Updated on: Nov 12, 2020 | 12:40 PM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ঘুরে ফিরে তাহলে বাইডেনের সঙ্গেও ভারত যোগ! না একবার নয় একাধিক বার যেন এ কথাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন জো বাইডেন। ২০১৩, ২০১৫ ফের ২০২০, বাইডেন জানালেন, তাঁর দুঃসম্পর্কের আত্মীয়রা (Joe Biden’s distant relatives) ১৮৭৩ সাল থেকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে থাকছেন।

২০১৩ সালে ভারতে এসেছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন বাইডেন সকলকে জানিয়েছিলেন, তাঁর দুঃসম্পর্কের আত্মীয়রা দেশের এই বাণিজ্যিক রাজধানীতে বসবাস করেন। ২০১৩ ও ২০১৫ সালেও বাইডেন জানিয়ে ছিলেন, যে তিনি ১৯৭২ সালে সেনেটর হওয়ার পরে ভারত থেকে কোনও এক বাইডেন তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান। চিঠি পড়ে জো জানতে পেরেছিলেন তাঁর ‘গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট গ্র্যান্ডফাদার’ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে কাজ করার সূত্রে ভারতে থাকতেন।

চিঠিটি লিখেছিলেন নাগপুরের লেসলি বাইডেন। তাঁর পরিবার ১৮৭৩ সাল থেকে ভারতে আছে বলে দাবি করেছিলেন ওই চিঠিতে। লেসলি বাইডেনের নাতনি সোনিয়া বাইডেন ফ্রান্সিস নাগপুরে থাকেন। তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, জো বাইডেন জেতায় ‘নাগপুরের বাইডেনরা’ তো বটেই সমগ্র বিশ্বের বাইডেনরা খুশি।

সোনিয়া জানিয়েছেন তাঁর দাদু লেসলি বাইডেন ভারত লজ অ্যান্ড হোস্টেল ও ভারত ক্যাফের ম্যানেজার ছিলেন। ১৯৮৩ সালে তিনি মারা যান। তাঁর দাদু জো বাইডেনকে ১৯৮১ সালের ১৫ এপ্রিল চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন। মে মাসের ৩০ তারিখ লেসলের কাছে জো বাইডেনের প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠি আসে। লেসলি ও জো,বাইডেনদের জিনতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করতেন। সোনিয়ার দাদা ইয়ান বাইডেনও জানান, লেসলি ও জো বাইডেনের মধ্যে ধারাবাহিক চিঠি বিনিময় চলত।

আরও পড়ুন: ৯২ শতাংশ সফল রাশিয়ার ‘স্পুটনিক-ভি’! প্রতিষেধকের আশায় ‘চাতক পাখি’ সারা বিশ্ব

জো বাইডেন জেতায় খুশি নাগপুরের এই পরিবার। তাঁরা বাইডেনের অভিষেকের জন্য শুভ কামনা জনিয়েছেন। সোনিয়া সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে লেসলি বাইডেনের নাতি লেসলি ডেভিড বাইডেনের বিয়ের সময় এক জায়গায় এসেছিলেন নাগপুর, মুম্বই, নিউ জিল্যান্ড ও আমেরিকার বাইডেনরা। লেসলি বাইডেনের মেয়ে ইভালিন মজুমদার ও আরেক নাতি ডানকান বাইডেন ও নাতনি সেরিল ডুয়েল্তজ মুম্বইতে থাকেন।

Joe Biden's distant relatives

বাইডেনের নাগপুরের পরিবার। ছবি- সংগৃহীত

লেসলির আরেক নাতনি লিলিয়ান বাইডেন ডিসুজা ও নাতি নাইজেল নাগপুরে থাকেন। তাঁর আরেক মেয়ে চারমাইন বাইডেন বোর্জেস নিউ জিল্যান্ডে থাকেন। চারমাইনের সঙ্গে থাকেন তাঁর সন্তান ডেঞ্জিল, চার্লেন ও ডেভিড। বাকি দুই সন্তান এরিকা ও লিঙ্কলন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। লেসলির আরেক নাতনি তিথিও বিদেশে থাকেন।

৭ বছর আগে মুম্বই এসে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে জো বাইডেন তাঁর মুম্বইয়ের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়দের কথা বলেছিলেন। লেসলি বাইডেনের চিঠির কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে ওয়াশিংটনে জো জানিয়ে ছিলেন, তাঁর ‘গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট, গ্রেট গ্র্যান্ডফাদার’ জর্জ বাইডেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাপ্তেন ছিলেন। ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করে পাকাপাকি ভাবে ভারতেই থেকে যান জর্জ। অর্থাৎ সম্পর্কের কঠিন জালে বাইডেনেরও ভারত যোগ।