নয়া দিল্লি: আর কয়েকদিন পরই সাধারণ বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এটাই হবে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের শেষ বাজেট। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ নয়, হবে অন্তর্বর্তী বাজেট। আর বাজেট এগিয়ে এলেই সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা ট্যাক্স বা করের কী পরিবর্তন হয় সে দিকে নজর রাখেন। কিন্তু চাকরিজীবীরাই কি কেবল কর দিয়ে থাকেন? আসলে তা নয়। কিছু কর চাকরিজীবীরা দিলেও সাধারণ মানুষকে আরও অনেক কর দিতে হয় সরকারকে।
সহজ ভাষায় করের অর্থ হল, যে টাকা সব নাগরিককে দিতে হয়। ওই করের টাকাতেই সরকারি প্রকল্প চালু রাখা সম্ভব হয়। কর মূলত দু ধরনের হয়- প্রত্যক্ষ কর বা ডিরেক্ট ট্যাক্স ও পরোক্ষ কর বা ইনডিরেক্ট ট্যাক্স। প্রত্যক্ষ কর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরাসরি নেয় সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ইনকাম ট্যাক্স, কর্পোরেট ট্যাক্স, ইনহেরিট্যান্স ট্যাক্স। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু পরোক্ষ কর। এ ক্ষেত্রে সরাসরি সাধারণ নাগরিকদের সরকারকে টাকা দিতে হয় না, অন্য কোনও উপায়ে টাকা যায় সরকারের ঘরে। এর মধ্যে রয়েছে জিএসটি, এক্সাইজ বা শুল্ক ও কাস্টম ট্যাক্স। অর্থাৎ কোনও পরিষেবা বা সুবিধা নেওয়ার জন্য এই কর পরোক্ষভাবে দিয়ে থাকেন ভারতীয়রা।
এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ইনকাম ট্যাক্স বা আয়কর। একজন নাগরিকের আয় কত, তার ওপরেই ভিত্তি করেই আয়কর নেওয়া হয়। বেতন বা বিনিয়োগের ওপর ভিত্তি করে ওই কর নেওয়া হয়। শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তিকে নয়, আয়কর দিতে হয় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকেও। বড় কর্পোরেট সংস্থা বড় অঙ্কের আয়কর দিয়ে থাকে সরকারকে।
এই প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া জরুরি সেজ ও সারচার্জ কী। সাধারণত কোনও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে নেওয়া হয় সেজ- যেমন স্বচ্ছ ভারত সেজ। আর সারচার্জ ধার্য করা হয় আয়করের ওপর।