মুম্বই: আশঙ্কা আগেই ছিল। জয় নিশ্চিত হতেই শুরু হয়ে গেল জোটের দ্বন্দ্ব। টানাটানি মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে। মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে কে বসবে, তা-ই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। “জোটে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”, বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এই কথা বললেও, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গলায় অন্য সুর। সূত্রের খবর, একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মহারাষ্ট্রে জয়ের নেপথ্যে রয়েছে “লড়কি বেহেন যোজনা”। এই প্রকল্প তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনি।
মহারাষ্ট্রে মহাযুতির ফল যত স্পষ্ট হচ্ছিল, ততই জল্পনা বাড়ছিল মুখ্যমন্ত্রীর পদে কে বসবেন, তা নিয়ে। একদিকে অজিত পওয়ারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়ে পোস্টার পড়েছে। অন্যদিকে, একনাথ শিন্ডের বাড়ির বাইরেও কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হতে শুরু করেন। স্লোগান তোলেন, “শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে চাই”। আবার বিজেপি কর্মীরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদে তো দেবেন্দ্র ফড়ণবীসই বসবেন।
এই টানাপোড়েনের মাঝেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তিন নেতা। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস আশ্বাস দিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনও ঝামেলা হবে না। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর জোটের নেতারা মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। সকলেরই মতামত নেওয়া হবে। চিন্তা নেই, রামদাস আঠাওয়ালের মতামতও নেওয়া হবে।”
এদিকে সূত্রের খবর, একনাথ শিন্ডে ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন যে মহিলাদের মাসিক ১৫০০ টাকা ভাতা, ‘লড়কি বহেন’ যোজনা তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত। নির্বাচনী প্রচারেও এই প্রকল্প নিয়েই সবথেকে বেশি প্রচার করা হয়েছে। ভোটে জিতলে ভাতা বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে অসাধারণ ফলাফলের অন্যতম কারণ এই প্রকল্পই। সুতরাং তাঁরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।
এবার একনাথ শিন্ডের এই দাবি পূরণ হয় কি না, তা জোটের বৈঠকের পরই জানা যাবে।