সিমলা: হিমাচলের (Himachal Pradesh) মসনদ থেকে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। কাঁটায় কাঁটায় টক্করে বিজেপিকে পিছনে ফেলে তখতের দখল নিয়েছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, কোনওরকম ঘোড়া কেনাবেচার ছক এড়াতে বিধায়কদের চণ্ডীগঢ়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস শিবির। আর এদিকে কংগ্রেস ম্যাজিক ফিগার পার করতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস শিবির থেকে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবে তা নিয়ে।
হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবার আগেই রয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি প্রতিভা সিং। তিনি প্রয়াত কংগ্রেস নেতা বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী। প্রতিভার ছেলে বিধায়ক বিক্রমাদিত্য সিংও বলছেন, “সন্তান হিসেবে আমি চাই তিনি বড় কোনও দায়িত্ব পান।” উল্লেখ্য, প্রতিভা সিং বর্তমানে কংগ্রেসের সাংসদ। প্রতিভা সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং এবং শেষ দফার বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রীকে নিয়েও জোর চর্চা চলছে। আলোচনা হচ্ছে দলের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি তথা এবারের নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান সুখবিন্দর সিং সুখুকে নিয়েও।
শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে কংগ্রেসের অন্দরে। প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন হিমাচলে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন, তখন এই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে তিনিও কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য কংগ্রেসের নাকি আটজন লড়ছেন। তার জবাবও অবশ্য এসেছিল কংগ্রেস শিবির থেকে। বলা হয়েছিল, কংগ্রেস একটি গণতান্ত্রিক দল এবং যে কেউ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন।
তবে আপাতত চারজনকে নিয়েই চর্চা হচ্ছে দলের অন্দরে। প্রথমেই প্রতিভা সিং। কিন্তু তিনি বর্তমানে সাংসদ এবং এবারের নির্বাচনে লড়েননি। ফলে প্রদেশ সভানেত্রীকে যদি মুখ্যমন্ত্রী করা হয়, তাহলে কোনও উপনির্বাচনে তাঁকে জিতে আসতে হবে। এর পাশাপাশি চর্চায় রয়েছে প্রতিভা-পুত্র বিক্রমাদিত্য সিংয়ের নামও। হিমাচলের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের পরিবারের এই দুই সদস্যই রয়েছেন চর্চায়। অতীতে ২০১৩ সালের উপনির্বাচনে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে পরাস্ত করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে প্রতিভা সিংয়ের।
মুকেশ অগ্নিহোত্রী এতদিন হিমাচলের বিধানসভার বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করছিলেন। ২০০৩ সালে প্রথমবার জয়ী হয়েছিলেন। চারবারের বিধায়ক তিনি। ২০১৭ সালের পর থেকে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতার ভূমিকা পালন করছেন তিনি। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন তিনিও।
সুখবিন্দর সিং সুখু হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রাক্তন সভাপতি। এবারের নির্বাচনী প্রচার কমিটিতে মূল দায়িত্বে ছিলেন তিনিও। তিনবারের বিধায়ক। দলের নীচু তলার কর্মীদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নাতীত। ফলে সুখুকে যদি হিমাচলের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়, তাহলে খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার নয়। যদিও সুখু নিজে বলছেন, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা স্থির করবে দলের হাইকমান্ড।