চণ্ডীগঢ়: আর কয়েক মাস বাদেই বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই দলীয় কোন্দলে জেরবার পঞ্জাব কংগ্রেস। অমরিন্দর সিং বনাম নভজ্যোত সিং সিধুর যে বিরোধ শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগে, তা বর্তমানে বাকি মন্ত্রীদের মধ্যে ছড়িয়েছে। রবিবার পঞ্জাবের মন্ত্রী রাণা গুরজিৎ সিংও সিধুকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করে বলেন, সিধু আসার পর থেকেই দলকে বিভক্ত করেছেন। তাঁকে রাজনৈতিক ভাড়াটে গুন্ডা বলেও আখ্যা দেন রাজ্যের মন্ত্রী।
সম্প্রতিই নভজ্যোত সিং সিধু বেশ কিছু কংগ্রেস নেতাদের দলের প্রতি আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রবিবার পাল্টা জবাবে গুরজিৎ সিং বলেন, “উনি (সিধু) আসল কংগ্রেস কর্মীদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, যেখানে উনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কেবল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য।”
সিধুকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আপনি যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেবেন, ততই দলের পক্ষে ভাল, কারণ আপনি এসেই দলের ভিতরে ভাঙন ধরিয়েছেন এবং ক্ষতি করেছেন। আপনার আসল রাজনৈতিক নেতৃত্বদের নির্দেশেই কোনও গোপন উদ্দেশ্য পূরণ করতে এসেছেন আপনি, এখনও ওনারাই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।”
২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ছে়ড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। সেই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেই গুরজিৎ সিং বলেন, “আপনি সেই সব রাজনৈতিক দস্যুদের মতো, যারা কেবল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভেই দলে যোগ দেন। আমি জন্ম থেকে এই দলেই রয়েছি।”
সিধুর দলবদলের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে গুরজিৎ সিং আরও বলেন, “হাস্যকর বিষয় হল, যিনি একদল থেকে অন্য দলে লাফিয়ে বেড়ান, কোনও দলে পাঁচ বছরও থাকেন না, তিনি আমাদের দিকে আঙুল তুলছেন যারা সারা জীবন একটি দলের সেবাতেই অতিবাহিত করেছেন।”
সিধুর “অস্থির ও খামখেয়ালি আচরণে”র কারণে তিনি নির্বাচনের আগে অবধি কংগ্রেসে থাকবেন কিনা, সে বিষয়েও কেউ নিশ্চিত নন বলেই জানান রাণা গুরজিৎ সিং। একইসঙ্গে বিরোধী দল ও মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে তাঁর আসল উদ্দেশ্য কী, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি। সিধুর সমালোচনায় গুরজিৎ সিং বলেন, “আপনি জনসমক্ষেই আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন, কারণ আপনি সাধারণ মানুষের মধ্যে ওনার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্য়তা নিয়ে হিংসা করছেন। দলের সভাপতি হিসাবে আপনার অন্যতম দায়িত্ব হল দলকে একজোট রাখা, কিন্তু আপনি প্রচার কমিটিতে ঝামেলা তৈরি করতে কেনও প্রচেষ্টাই বাকি রাখেননি। ”
আরও পড়ুন: Work From home: ওমিক্রনের মেঘে আবার অনিশ্চিত অফিসে ফেরা! কী বলছে তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলি?