অভিনয়ের ইচ্ছা বা অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন হয়তো অনেকেই দেখেন, তবে কঠিন শপথ নিয়ে জীবনের একাধিক অধ্যায়ে জড়িয়ে থাকা সমস্যার সম্মুখীন হয়তো অনেকেই করে উঠতে পারেন না। কারুর কারুর কাছে তাই ইচ্ছেপূরণটা স্বপ্নই থেকে যায়। বলিউডে অন্দরমহলে সংযোগ, স্বজনপোষণ থাকলেই যে পায়ের তলার মাটি শক্ত করে নেওয়া যায় এই ধারণাটা সম্পূর্ণ অর্থে ভুল। অনেকেই সেলেব কিডের তকমা দিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন। কিন্তু সফল হতে পেরেছেন কতজন! নিজের ইচ্ছে, একাগ্রতার ওপর ভর করে সেই স্বপ্নকেই সত্যি করেছিলেন অনিল কাপুর। কথায় বলে কোনও কাজই সৎ পথে ছোট নয়।
অর্থ উপার্জনের তাগিদে অনেককেই অনেক কিছু করতে হয় কেরিয়ারের শুরুর দিকে, পরবর্তীতে যা নতুনদের চোখে অনুপ্রেরণা। বলিউড স্টার অনিল কাপুরের কাহিনিও ঠিক তেমনই। পৃথ্বীরাজ কাপুরের আউট হাউসে থাকতেন অনিল কাপুরের মা-বাবা। হঠাৎ অনিল কাপুরের বাবার হার্টে একটি সমস্যা দেখা দেয়। এরপর তিনি বুঝতে পারেননি যে এবার বাবাকে একটু বিশ্রাম দিতে হবে। তখনই তিনি সেখান থেকে কাজের খোঁজ শুরু করে দিয়েছিলেন। বয়স তখম মাত্র ১৭ কি ১৮। যুগ যুগ ছবির প্রমোশনে এসে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি।
জানিয়েছিলেন স্পট বয় হয়ে টাকা রোজগার করা শুরু হয় তাঁর। বিমানবন্দর থেকে সেলেবদের তুলতেন, সেখান থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌঁছে দিতেন, তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা, দেখে শুনে রাখা, সবটাই করতেন দায়িত্ব নিয়ে। এরপর নিজে একটি ছবি করবেন বলে স্থির করেছিলেন। কিছু শপিং করেন টাকা জমিয়ে। তারপর লোকেশন দেখা, আরও সবটা গুছিয়ে নেওয়ার পর তৈরি হয় ছবি। তবে এখানেই শেষ নয়। বরং অনিল কাপুর এখান থেকেই শুরু করেছিলেন। এরপর অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা ভাবেন। তেমনটাই করেনও। তারপর থেকেই ছোট ছোট চরিত্র পাওয়া, এবং পরবর্তীতে বলিউডে অন্যতম স্টার হয়ে ওঠা।