২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসের খবর। ১৫ তারিখে আচমাকই হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেতা শ্রেয়স তোলপাড়ে। সূত্র মারফৎ খবর, ঘটনাটি ঘটে বাড়িতেই। সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছিল তাঁর। হয়েছিল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও। চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন। মুম্বইয়ের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, সেদিন সকালে শুটিংয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। শরীরে ছিল না কোনও অস্বস্তিও। ‘ওয়েলকাম টু জাঙ্গল’ নামক ওই ছবির শুটিংয়ের মাঝে সহকর্মীদের সঙ্গে ঠাট্টা-ইয়ার্কিও করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শুটিং শেষে বাড়িতেই ফিরেই আচমকাই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি।
পরিবারের সকলের তৎপরতায় হাসপাতালে দ্রুত পৌঁছে যান তিনি। পৌঁছনোর পর জানা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর এই খবরে দুর্ভাবনায় ভক্তরা। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন, এমনটাই চেয়েছিলেন সকলে। তাই বোধহয় এই মিরাকেল। এখন সুস্থ আছেন তিনি। ডাক্তারের পরামর্শেই যদিও লাইফস্টাইল পাচ্ছাচ্ছেন।
এখন কাজেও ফিরেছেন তিনি। তবে এক সাক্ষাৎকারে হঠাৎ এ কী বলে বসলেন অভিনেতা? বললেন, “ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি নাকি ক্লিনিক্যালি ডেথ অর্থাৎ ডাক্তারী পরিভাষায় মৃত্য। তবে তেমনটা হয়নি। সকলের প্রার্থনা ও ভালবাসায় তিনি ফিরে এসেছিলেন। তাঁর কথায় এটা তাঁর দ্বিতীয় জীবন। যা তিনি ফিরে পেয়েছেন। স্পষ্ট ভাষায় বার বার বলতে শোনা গেল, ‘আমি তো মারা গিয়েছিলাম”।
প্রসঙ্গত, এখনও ৫০-ও অতিক্রম করেননি শ্রেয়স। এই মুহূর্তে তাঁর বয়স ৪৭ বছর । তবে হালফিলের ঘটনাই বলে দিচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন যে কোনও বয়সীরা। কিছু দিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। পাশাপাশি বলিউডের কম বয়সের অভিনেতাকেও হারাতে হয় এই হৃদরোগের কারণেই।