এত লোক একসঙ্গে আগে দেখেনি সে। পাপারাৎজি! সে আবার কী? এত ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি, এত কোলাহল এতদিন ঘিরে ধরেনি তাঁকে। তবে আর নয়, পাপারাৎজির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হল করিনা ও সইফের প্রথম সন্তান জাহাঙ্গীর খানের । কখনও বাবার কোলে চেপে আবার কখনও বা কাচ ঢাকা গাড়িতে অবাক দৃষ্টিতে তাঁর চেয়ে থাকার ছবি এই মুহূর্তে ভাইরাল। সইফিনার দ্বিতীয় সন্তানের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনদের একটাই বক্তব্য, ‘এ তো হুবহু করিনা।’
দাদু রণধীর কাপুরের সঙ্গে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ছোট্ট জাহাঙ্গীর। বাবার কোলে চেপে গাড়ি থেকে নামতেই তাকে ক্যামেরাবন্দী করে ফোটোশিকারীরা। গাড়ি ছাড়ার সময়েও ন্যানি অর্থাৎ পরিচারিকার কোলে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল ছোট্ট জেহকে। এত লোককে একসঙ্গে দেখে তার অবাক দৃষ্টি এখন নেটদুনিয়ার ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘুরে বেড়াচ্ছে জেহ ও মা করিনার ছোটবেলার ছবি। দুই ছবিকে মিলিয়ে দিয়েছেন নেটিজেন। তাঁদের বক্তব্য মা ও ছেলের মুখের ভীষণ মিল।
প্রথম সন্তান তৈমুরের জন্মের পর হাসপাতাল থেকেই ছবি শেয়ার করেছিলেন সইফ-করিনা। কিন্তু জেহ জন্মাবার পর এমনটা হয়নি। ছেলের নাম বহুদিন পর্যন্ত গোপন রেখেছিলেন সইফিনা। সম্প্রতি করিনা তাঁর বইতে শেয়ার করেছেন ছেলের নাম। জানিয়েছেন নাম রেখেছেন জাহাঙ্গীর ওরফে জেহ। কিন্তু জাহাঙ্গীরের মুখ দেখা যায়নি এ যাবৎ। অবশেষে প্রকাশ্যে তার প্রথম ছবি।
অন্যদিকে করিনা তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের নাম ফাঁস করতেই শুরু হয়েছে কদর্য ট্রোলিং। এরই মধ্যে ছোট ছেলেকে নিয়ে একগুচ্ছ না জানা কথা জানালেন তিনি। করিনা জানালেন হাবেভাবে ও দেখতে তৈমুরের থেকে একেবারেই আলাদা দেখতে তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর ওরফে জেহ। তৈমুর দেখতে বাবা সইফ আলি খানের মতো, অন্যদিকে জেহ দেখতে হুবহু মায়ের মতো। তাঁর কথায়, “আমার দুই সন্তানই চারিত্রিক দিক দিয়েও একেবারে আলাদা। তৈমুর আউটগোয়িং। কিন্তু তিন মাস বয়সেই জেহ অনেক বেশি চুপচাপ, শান্ত।”
পাশাপাশি দুই ছেলের নাম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা নিয়েও মুখ খুলেছেন করিনা। ইতিহাস বলছে, নুরুদ্দীন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জাহাঙ্গীরের বেলাতেও অন্যথা হয়নি।
করিনার কথায়, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”
আরও পড়ুন- আজই বিয়ে, পাত্রী অনিল-কন্যা রিয়া, কাপুর পরিবারের হবু জামাই করণকে চিনে নিন