কাপুর পরিবার, বরাবরই দাপটের সঙ্গে অভিনয় জগতে রাজত্ব করতে দেখা গিয়েছে এই পরিবারের সদস্যদের। এক কথায় বলতে গেলে তাঁদের হাত ধরে বলিউডের মাটি শক্ত হওয়া, তাঁদের আধিপত্যেই বলিউডের রমরমা সফর শুরু। কাপুর পরিবার সিনেজগতে তাই এক ব্র্যান্ড। এই পরিবারের সদস্য মানেই অভিনয়। রক্তে অভিনয়। তা যুগ যুগ ধরে প্রমাণ করেছেন এই পরিবারের সদস্যরা। তবে একদিকে যেমন এই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সিনেমা জগতে আভিজাত্য ছিল চোখে পড়ার মতো, ঠিক তেমনই আবার এই ইন্ডাস্ট্র্রিতে জায়গাই করতে পারতেন না এই পরিবারের মহিলা সদস্যরা। তাঁদের অভিনয়গুণ থাকলেও এই পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হলেই ভুলতে হত বাইরের জগত। এই পরিবারের মহিলাদের অভিনয় করার অনুমতি ছিল না। সে বাড়ির মেয়ে হোক কিংবা বাড়ির বউ। সকলেই ক্ষেত্রেই এই নিয়ম ছিল এক।
তবে কোথাও গিয়ে তো থামতেই হতো। সময় পাল্টাচ্ছিল, পাল্টাচ্ছিল যুগ। আর সেই পালাবদলের প্রথম পদক্ষেপটা নিয়েছিলেন করিশ্মা কাপুর ও করিনা কাপুরের মা। কাপুর পরিবার থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। চেয়েছিলেন দুই মেয়েকে মানুষ করতে। অভিনয় জগতে তাঁর দুই মেয়ে দাপটের সঙ্গে কাজ করবে স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে করিনা কাপুর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ”আমাদের মা আমাদের খুব সাধারণ মধ্যবিত্তের মতোই বড় করেছিলেন। স্কুল বাসে ছাড়তে যেতেন। প্রতিটা মুহূর্তে সঙ্গে থাকতেন। আর যখনই কেরিয়ার নিয়ে কথা হতো, তিনি স্পষ্ট করে দিতেন যে অভিনয়ই করতে হবে।”
এখানেই থামেন না করিনা কাপুর। তিনি আরও বলেন, ”মা আমাদের সমস্ত সিদ্ধান্তে পাশে থাকতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত করে দিয়েছিলেন আমাদের। বিশেষ করে দিদিকে। ওকে মাত্র ১৪ বছর বয়সে পর্দায় আসতে হতো। আমারটা অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছিল দিদির জন্য। আবার চ্যালেঞ্জেরও ছিল।”