আর্থিক দুরবস্থায় মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে ফিরে গেলেন ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর অভিনেতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Jun 28, 2021 | 3:20 PM

The Family Man 2: সাহাব জানিয়েছেন, কিছু মিউজিক্যাল শো তাঁকে আর্থিক স্থিতবস্থা দেয়। যার মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করতে পারেন। এমনকি মুম্বইতে এসে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন।

আর্থিক দুরবস্থায় মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে ফিরে গেলেন ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর অভিনেতা
‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’-এর দৃশ্যে সাহাব আলি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।

Follow Us

‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর মতো জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রশংসাও পেয়েছেন। তিনি অর্থাৎ অভিনেতা সাহাব আলি। কিন্তু তারপরও তাঁর হাতে কাজ নেই। দেখা দিয়েছে অর্থাভাব। আর তা এতটাই প্রকট, মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে নিজের বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন অভিনেতা।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় পথনাটিকা দিয়ে অভিনয়ের শুরু সাহাবের। সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করে এক বছর একটি সংবাদপত্রে কাজও করেছেন। কিন্তু সেখানে মন বসছিল না। তাই মাকে বলে, পরিবারের অনুমতি নিয়ে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০১৫-এ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। মুম্বইতে টানা থাকার মতো আর্থিক অবস্থা ছিল না তাঁর। মাঝেমধ্যে অডিশন দিতেন। বাকি সময়টা দিল্লিতেই থাকতেন তিনি।

ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। সাহাব জানিয়েছেন, কিছু মিউজিক্যাল শো তাঁকে আর্থিক স্থিতবস্থা দেয়। যার মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করতে পারেন। এমনকি মুম্বইতে এসে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ তাঁকে যে জনপ্রিয়তা দিয়্ছে, তাতে তিনি আপ্লুত। কিন্তু এখনও আর্থিক পরিস্থিতি বদলায়নি। লকডাউনের কারণে ফের দিল্লিতেই ফিরে যেতে হয়েছে অভিনেতাকে।

সদ্য এক সাক্ষাৎকারে সাহাব বলেন, “লকডাউনে কোনও কাজ নেই আমার হাতে। যে সব কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, তাও পিছিয়ে গিয়েছে। মুম্বইতে যে বাড়িতে থাকতাম, সেটা ভাড়া দিতে হয়েছে আর্থিক কারণে। এখন আমি দিল্লিতে ফিরে এসেছি। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’ রিলিজ করার পর কিছু অফার আসছে। তবে কবে কাজ শুরু হবে জানি না। কাজ না শুরু হলে আর্থিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হবে না।”

ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার প্রাক্তনী সাহাব যখন মনোজের বিপরীতে অভিনয় করার সুযোগ পেলেন, সেই মুহূর্ত তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নপূরণের সামিল। তাঁর কথায়, “ট্রেনিংয়ের সময় মনোজ আমার আদর্শ ছিলেন। ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা উপহার। প্রত্যেকটা মুহূর্তে ওঁর উপস্থিতি এনজয় করেছি। যা ভেবেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পেরেছি। প্রথম সিজন থেকেই ওঁর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল।”

সাহাব আরও জানান, মনোজ সব সময় ইম্প্রোভাইজ করেন। ফলে উল্টো দিকের সহ অভিনেতার অফ-ট্র্যাক হয়ে যাওয়ার ভয় সব সময় কাজ করে। এই ভয়টাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন সাহাব। সে কারণেই ‘ফ্যামিলি ম্যান’-এ মনোজ এবং তাঁর দৃশ্য ভাল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

‘ফ্যামিলি ম্যান’-এ যাঁকে নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে, তিনি দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা আকিনেনি। সাহাব ওঁর সঙ্গেও অনেক দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। সাহাব জানান, সামান্থা অত্যন্ত পেশাদার। সকলে ভাল পারফর্ম করলে, তবেই একটা সিন ভাল হয় বলে বিশ্বাস করেন সামান্থা, যা সাহাবকে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে সাহায্য করেছেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন, ‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’-এর বার্মিংহাম যাত্রা, মা-মেয়ের যুগলবন্দি দেখার অপেক্ষায় দর্শক

Next Article