রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার তিনি দিদি নম্বর ওয়ার। শত শত মহিলার কাছের মানুষ। প্রতিদিন বিকেলে দিদি নম্বর ওয়ান রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে নানান মহিলার লড়াইয়ের কাহিনি নিয়ে তাঁকে উপস্থিত হতে দেখা যায়। দীর্ঘ দিন ধরে রচনার এই ভূমিকা দর্শক মহলে বেজায় চর্চিত। বহু মহিলারা অপেক্ষায় থাকেন এই শো দেখার জন্য। রচনা নিজের মতো করে সকলের সঙ্গে কথা বলেথাকেন, সকলের লড়াইয়ে উৎসাহ যোগান, পাশাপাশি বহু মানুষের উদ্দেশে ভরসা দেওয়ার মতো কথাও বলে থাকেন। ফলে অনেক মহিলাই তাঁদের জয়, ব্যর্থতা, কষ্ট আবেগ রচনার সঙ্গে শেয়ার করে নিতে এই রিয়্যালিটি যোগ দিতে আসেন। অনেকে আবার পর্দার উল্টোপিঠে বসে তাঁদের গল্প শুনে নিজের জীবনে লড়াইয়ের সাহস পান। এভাবেই সাধারণের কাছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অন্যস্বাদের ইমেজ তৈরি হয়েছে।
সেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এবার উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে রাজনীতির ময়দানে। অভিনয় থেকে এখন অনেকটাই সরে গিয়েছেন তিনি। তবে একবার নিজেই জানিয়েছিলেন, ভাল চরিত্র পেলে, তাঁর মনের মতো হলে তিনি ভেবে দেখতেই পারেন। বড়পর্দায় তাঁকে শেষ দেখা যায় পরিচালক নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জুটির ছবি ‘রামধনু’ তে।
একবার TV9 বাংলার সাংবাদিক সুচরিতা দে-কে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জানিয়েছিলেন, “ ভবিষ্যতের কথা তো বলা যায় না। ভবিষ্যতে হয়তো রাজনীতিতে আসতেও পারি।” এখনও যদিও কিছু নিশ্চিত করেননি অভিনেত্রী তথা সঞ্চালিকা। যদিও সামনে লোকসভা নির্বাচনে যে তিনি প্রার্থী হতে পারেন, সেই জল্পনা উষ্কে যায় পয়লা মার্চই। এখন অপেক্ষায় সকলে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার। সেখানেই রচনার চূরান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। তবে এখনই সেই সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।