নাম তাঁর ভজন সিং রানা। এতদিন তাঁকে লোকে শুধুমাত্র অটোচালক হিসেবেই চিনতেন। কিন্তু গত বুধবার রাতে রক্তাক্ত সইফকে হাসপাতালে পৌঁছে, খান পরিবারের কাছে তিনি সুপারহিরো। জীবনদাতা। আর মঙ্গলবার হাসপাতালে যখন সইফকে দেখতে গেলেন জীবনদাতা অটোচালক ভজন, তখন দূরে ঠেলে রাখলেন না সইফ। কাছে টেনে জড়িয়ে ধরলেন। শুধুই কী তাই, আড্ডা দিলেন বেশ কিছুক্ষণ। আর সইফের মা শর্মিলা ঠাকুর, কাছে ডাকলেন ভজনকে। মাথায় হাত বুলিয়ে করলেন আশীর্বাদ।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে অটোচালক সেই রাতের ভয়াবহতার কথা জানিয়ে ছিলেন। জানিয়ে ছিলেন সইফকে প্রথমে চিনতেই পারেননি তিনি, পরে আহত সইফই জানান, তিনি অভিনেতা সইফ আলি খান। তারপর একছুট্টে অটো গিয়ে দাঁড়ায় লীলাবতি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তখনই জানিয়ে ছিলেন, সইফকে দ্রুত আনার কারণে চিকিৎসায় সাহায্য হয়েছে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সেদিন রাতের জন্য অটোচালককে নাকি কোনও অটো ভাড়াই দেননি সইফ। তবে পরে অটোচালক নিজেই জানিয়ে ছিলেন সইফের পরিবারের থেকে ১১ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি।
সইফের স্বাস্থ্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন খান পরিবারসহ অনুরাগীরা। সেই চিন্তা দূর করতেই বাড়িতে ঢোকার মুখেই মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই হাত তুলে সইফ বুঝিয়ে দেন তিনি একেবারে সুস্থ। সাদা শার্ট, ডেনিম জিনস, চোখে রোদচশমায় সইফকে দেখা গেল একেবারে নবাবি মেজাজে। ছোটে নবাবকে দেখে একেবারে বোঝাই যাচ্ছিল না যে, ঠিক পাঁচদিন আগেই তাঁর উপর দিয়ে এমন ঝড় বয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সইফের উপর চিকিৎসকরা কড়া নজর রাখছেন। আগামী দুমাস তাঁর চিকিৎসা চলবে। এমনকী, আগামী দুমাস জিমে কসরৎ করতে মানা সইফের। তাঁকে থাকতে হবে বিশ্রামে।