রূপম ইসলাম, গানের জগতের অন্যতম নাম। যাঁর কনসার্ট মানেই হাজার হাজার শ্রোতার কাছে বিশেষ আকর্ষণ। তবে এবার থেকে তাঁর কনসার্ট মানেই বাড়তি সতর্কতা। কারণ একটাই, এবার সকলকে সতর্ক করতে কড়া বার্তা দিলেন গায়ক। সম্প্রতি কল্যাণীতে কনসার্ট করতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই মাদক সেবনের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। এক দিন আগে যে কনসার্টে গিয়ে এমন মন্তব্য করলেন। সেই রূপমকে নিয়েই কটাক্ষের বাণ। কী ঘটেছে? সঙ্গীতশিল্পীর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মঞ্চের উপর কালো পোশাকে গায়ক। কখনও নাচছেন। কখনও মাথা ঝাঁকাচ্ছেন। আবার মাইক ধরে গোল গোল করে ঘুরেই চলেছেন কখনও। এক ব্যক্তি তাঁর সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে এক জন লিখেছেন, “রূপম ইসলাম অন ফায়ার।” রানাঘাটে রূপমের শোয়ের এই ভিডিয়ো খুবই ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু গায়কের সেই ভিডিয়ো দেখেই নিন্দার ঝড়।
এক ব্যক্তি লেখেন,”নেশাটা একটু বেশি হয়ে গেছিল মনে হচ্ছে।’ কেউ আবার লেখেন, ‘মাটিতেই আছেন না আকাশে উঠে গেছেন?’ তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, ‘তার কেটে গেছে মনে হচ্ছে।” অনেকে আবার এমন সব মন্তব্যের বিরোধিতাও করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘রক ঘরানা সম্পর্কে আইডিয়া আছে? এটা এ যুগের না, ৬০ দশক থেকে চলে আসছে। না জানলে জানুন কিন্তু যা জানি না তা অবান্তর এবং অকারণ কাউকে মাতাল বলে দাগিয়ে দেওয়া সুস্থতার লক্ষণ নয়।’ আরেকজন লেখেন, ‘বিদেশি গায়করা করলে ঠিক আছে। আর বাংলার কেউ করলেই দোষ?’
উল্লেখ্য়,কয়েক দিন আগেই একটি কনসার্টে শ্রোতাদের মাদক দ্রব্য সেবন করতে মানা করেছিলেন রকস্টার স্বয়ং। বিবেকানন্দের জন্মদিনে গায়ক কনসার্টের মাঝেই বললেন, “বিবেকানন্দ বলেছিলেন জাগ্রত থাকতে হবে, তবেই আমাদের যুবশক্তির উত্থান হবে। আমি যদি ঢুলু ঢুলু হয়ে যাই, তাহলে আমি কোন কাজে লাগব পৃথিবীর? পৃথিবী কি আমাদের জন্ম দিয়েছে ওই ঢুলু ঢুলু হওয়ার জন্য? আমি সেরকম মানুষ নই। আর আমি মনে করি না এই জিনিসটার দরকার আছে। আমার লাগেনি। যাঁরা এই গল্প তৈরি করেছে তাঁদেরকে ধরো। মোকাবিলা কর। আমি মনে করি মিথ্যেবাদীরা কবিতা লিখতে পারে না। আর লিখলে ধরা পরে যায়। ইতিহাস এত বোকা নয়…। মনে রেখো ওই ধোঁয়া যাঁরা ওড়াচ্ছো তাঁরা লজ্জিত হও। এই মাঠে যদি আমি কখনও পারফর্ম করি, তবে আমি তক্ষণ পারফর্ম করব, ততক্ষণ একজনও মাদক সেবন করবেন না। একজনও গাঁজা খাবেন না। মুখে যদি গন্ধ পাওয়া যায় এই মাঠে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।