৯ মাস আগে শুরু হয়েছিল বাংলা সিরিয়াল ‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ধারাবাহিকটি। অভিনেতা ইন্দ্রাশিস রায় TV9 বাংলা ডিজিটালকে জানিয়েছেন, সিরিয়ালটি স্লট টপার হয়েছে টিআরপির নিরিখে। শোনা যাচ্ছিল, এত জনপ্রিয়তার পরও নাকি বন্ধ হবে ‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’। হচ্ছেও তাই। আগামী ১৬ জুন সিরিয়ালের শেষ শুটিং। স্টার জলসা চ্যানেলে প্রতি সোম থেকে রবি রাত ৯টায় সম্প্রচারিত হয় এই সিরিয়াল। সেই জায়গায় টেলিকাস্ট হবে ‘শুভ বিবাহ’। কিন্তু কেন বন্ধ হচ্ছে ‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না সিরিয়ালের শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। সিরিয়ালে আসমানের চরিত্রে অভিনয় করছেন ইন্দ্রাশিস রায়। মনের যন্ত্রণা নিয়ে তিনি বলেছেন, “মন আমাদের খুব খারাপ। আমাদের সিরিয়ালটা সবেমাত্র একটা ভাল গল্পে ঢুকেছিল। প্লটটা জমে উঠেছিল। তারপরই জানতে পারি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানেন, আমরা কিন্তু স্লট টপার। স্লট টপার হয়েও বন্ধ হচ্ছে কেন সেটাই ভাবছি। আমাদের কোনও কারণও বলা হচ্ছে না সঠিক করে। ভাল লাগছে না কিছু। রীতিমতো ভেলকি দিয়ে বন্ধ হচ্ছে ‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’।”
সিরিয়ালটির প্রাণ অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। তাঁকে দেখা যাচ্ছে কোজাগরী বসুর চরিত্রে। প্রাণশক্তিতে ভরপুর কোজাগরী এক সামান্য গৃহবধূ। অধ্যাপক স্বামী, তিনসন্তান, শাশুড়ি, ননদ, নন্দাইকে নিয়ে তার ভরা সংসার। শুরু থেকে শিশুদের মতো সরল হিসেবেই তাঁকে দেখানো হয়েছে সিরিয়ালে। লেখাপড়া কম জানা কোজাগরী পাড়ার পুজোয় ঠাকুর আনতে যায়, ছোটদের সঙ্গে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। শোনে কটাক্ষের হাসিও। কিন্তু তাতে তার কিছুই যায় আসে না। একদিন হঠাৎই সে উপলব্ধি করে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে হলে নিজের পায়ে দাঁড়ানো প্রয়োজন। সে রান্না করতে পারে। ৩৫টা বছর বাড়ির সকলের জন্য রান্না করে মুখের সামনে খাবার তুলে ধরেছে সকলের। রান্নাকে নিয়েই শুরু হয় তাঁর স্বাধীন ব্যবসা। পাড়ার মোড়ে ভাতের হোটেল খোলে সে এবং তারপর থেকেই সে পরিবারে ব্রাত্য। অধ্যাপক স্বামী, ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার ছেলেদের মায়ের এই পেশা পছন্দ নয়। লড়াই শুরু হয় নিদারুণ। জমে ওঠে প্লাট। কোজাগরীর চরিত্রে অপরাজিতার দুর্দান্ত অভিনয় সকলের মন জয় করে নিয়েছে। সিরিয়াল বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে তিনি ফোনটাই তুলছেন না কারও।
ইন্দ্রাশিস বলেছেন, “কেন ভেলকি বললাম জানেন? প্রথমে শুনলাম, সিরিয়াল বন্ধ হচ্ছে। তারপর বলা হল, হচ্ছে না। আমরা মনে-মনে আস্বস্ত হলাম সবাই। তারপর আবার শুনলাম, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা ভেলকি না তো কী!”