ছোট্ট মেয়ে নিজেকে রাজকুমারী ভাবত, এমন ভাবনা কেন শেয়ার করলেন মিথিলা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Sep 06, 2021 | 4:30 PM

Rafiath Rashid Mithila: মিথিলা সদ্য ভারতে তাঁর প্রথম ছবির কাজ শেষ করলেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘মায়া’ ছবিতে দেখা যাবে মিথিলার অভিনয়।

ছোট্ট মেয়ে নিজেকে রাজকুমারী ভাবত, এমন ভাবনা কেন শেয়ার করলেন মিথিলা?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।

Follow Us

এক সময় একটা ছোট্ট মেয়ে ছিল। সে নিজেকে রাজকুমারী ভাবত। কম-বেশি অনেক মেয়েই ছোটবেলায় এমন স্বপ্ন দেখে। এমন ভাবে। ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাও। সদ্য ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ফটোশুটের ছবি শেয়ার করেন তিনি। তার ক্যাপশনেই নিজের এই ভাবনার কথা শেয়ার করেছেন তিনি।

মিথিলা সদ্য ভারতে তাঁর প্রথম ছবির কাজ শেষ করলেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘মায়া’ ছবিতে দেখা যাবে মিথিলার অভিনয়। মিথিলার সঙ্গে প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে TV9 বাংলাকে রাজর্ষি বলেছিলেন, “শি ইজ প্লেয়িং মায়া ইন মায়া। অসাধারণ ও। ওর ডেডিকেশন শেখার মতো। পুরো স্ক্রিপ্টটা মুখস্থ। আমি এমন দেখিনি। আমরা খুব বন্ধু হয়ে গিয়েছি।”

রাজর্ষির এই ছবির বিষয় শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ। সদ্য এই ছবির লোগো প্রকাশ করল গোটা দিন। বাংলাদেশে মিথিলার অভিনয় দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এ পার বাংলায় এই প্রথম। ফলে মিথিলার জন্যও এই প্রজেক্ট নিঃসন্দেহে খুব স্পেশ্যাল।

‘মায়া’র শুটিং শেষ করে আয়রাকে নিয়ে মুম্বইতে সৃজিতের সঙ্গেও সময় কাটিয়ে এসেছেন মিথিলা। সৃজিত এই মুহূর্তে সাবাস মিঠুর শুটিংয়ে মুম্বইয়ে রয়েছেন। সেই কাজের ফাঁকে মিথিলা এবং আয়রাকে সময় দিয়েছিলেন তিনি। শুধু অভিনয় নয়, গান, পড়াশোনা সহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত মিথিলা। শিশুদের নিয়েও কাজ করেন তিনি। কিন্তু আপাতত তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবেই চিনছেন দর্শক।

দিন কয়েক আগে একত্রে একটি পেশাদার কাজ করায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাহসান-মিথিলাকে। মিথিলা সে সময় জানান, প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ একসঙ্গে কাজ করতেই পারেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মানে কখনও একসঙ্গে কাজ করা যাবে না, তা নয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাহসান আয়রার বাবা, মা। তাই মেয়ের কথা ভেবেও তাঁরা নিজেদের সম্পর্ক তিক্ত করতে চান না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই আয়রাকে সুস্থ শৈশব দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মিথিলা।

বাংলাদেশে থাকলে আয়রা কখনও মায়ের কাছে, কখনও বা বাবার কাছে থাকে। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ট্রোলিংয়ের শিকার যাতে না হতে হয়, তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এখন আর সকলের কমেন্ট করার অধিকার নেই। বাবা, মেয়ের আনন্দের মুহূর্তে মাও ভাগীদার হবেন, হোক তা ভার্চুয়াল, এটাই তো স্বাভাবিক।

আয়রা মূলত মিথিলার কাছেই থাকে। বাংলাদেশে মিথিলা গেলে আয়রা সঙ্গী হয়। আবার মিথিলা কলকাতায় থাকলে মেয়ে তার সঙ্গেই থাকে। আপাতত আয়রা কলকাতার একটি স্কুলের ছাত্রী। পড়াশোনার স্বার্থে ভবিষ্যতে সে কোথায় থাকবে, সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন, অপর্ণা সেন পরিচালিত ‘দ্য রেপিস্ট’-এর জন্য সুখবর, শেয়ার করলেন অর্জুন

আরও পড়ুন, ‘মা তারা’ হিসেবে জার্নি ঠিক কেমন ছিল? কৌশিকী অমাবস্যায় শেয়ার করলেন নবনীতা

Next Article