চুমকি চৌধুরী, একটা দীর্ঘ সময় তিনি পর্দায় দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছেন। ৯০ দশকে একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। টলিপাড়া জুড়ে ছিল তাঁরই রাজত্ব। ‘মেজোবউ’, ‘সেজোবউ’ রাখী-পূর্ণিমা, হল যেন উপচে পড়ত সে সময়। চুমকি চৌধুরী– টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর আরও এক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে। সারাজীবন বাবার ছবির হিরোইন হতেই দেখা গিয়েছে চুমকিকে। অন্য পরিচালকের অফার যে ছিল না এমনটা নয়। ইন্ডাস্ট্রির ভাল মেয়ে চুমকি চৌধুরী। তাঁকে নিয়ে নেই কোনও গসিপ। এমনকি সিনেমায় আসার ইচ্ছেও ছিল না তাঁর। বাবাই আলাপ করান ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গে।
জানেন কি, এই লক্ষ্মী মেয়েকেই একবার সকলের সামনে সপাটে চড় খেতে হয়েছিল? তাও আবার বাবার হাতে? কারণ জানলে অবাক হবেন। এক সাক্ষাৎকারে চুমকি জানান, তিনি নাকি অভিনয়টা জানতেনই না। তাই পরিচালক বাবার সামনে দাঁড়িয়ে বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী করবেন?
কী বলেছিলেন চুমকি? তাঁর কথায়, ‘অভিনয়টা আমি একদমই বুঝতাম না। অভিনয়ে যখন প্রথম এলাম, কান্না তো ছেড়েই দিন, কিছুই জানি না। দ্বিতীয় দিন আমার কান্নার একটি দশ্যে শুট পড়েছিল। সে গ্লিসারিন দিয়েও কিছু হচ্ছিল না। বাবা কোনওদিন আমাদের কোনও ভাই বোনের গায়ে হাত তোলেননি। সেদিন বারবার রি-টেক হচ্ছে, বাবা রেগে গিয়ে সেই প্রথম আমায় চড় মারেন। তারপর কান্না আর বন্ধ হচ্ছিল না, সেদিনের মতো শুটিং প্যাক আপ হয়ে যায়।’