মিমি চক্রবর্তী। বরাবরই তাঁকে নিয়ে দর্শক মনে চর্চা থাকে তুঙ্গে। কেরিয়ারের প্রতিটা ধাপে বারবার সকলের নজর কেড়েছেন তিনি। কখনও জল্পনায় উঠে এসেছে তাঁর প্রেম, কখনও আবার জল্পনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে তাঁর রাজনীতিতে যোগদন পর্ব। যদিও মিমি চক্রবর্তী বরাবরই নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন বিতর্ক থেকে। খুব বুঝে শুনেই কথা বলে থাকেন তিনি। ব্যক্তিজীবন নিয়ে তাঁকে প্রকাশ্যে খুব একটা মন্তব্য করতে দেখা যায় না। তবে অপুর সংসার টক শোয়ে এসে নিজের একাধিক কাণ্ডকীর্তি ফাঁস করেছিলেন তিনি নিজেই। মিমি চক্রবর্তী কি ছোটবেলায় বেজায় দুষ্টু ছিলেন? না, একেবারেই তেমনটা নয়, তবে একবার তাঁর দিদিকে বেজায় বিপত্তিতে পড়তে হয়েছিল তাঁর জন্যই। মিমি চক্রবর্তী নাকি তাঁর দিদির প্রেমে খোঁচা দিয়েছিলেন? সত্যি কি তাই? উত্তরে স্পষ্ট করে দেন মিমি, মোটেও বিষয়টা তেমন নয়।
মিমি চক্রবর্তী বলেছিলেন, ”আমি দেখতাম বাড়িতে প্রায় দিদি চকলেট আনত। যেখানে আমি মাসে মাত্র ১০ টাকা পাচ্ছি, মাসে একটা চকলেট পাচ্ছি, সেখানে এত বড় বড় চকলেট রোজ বাড়িতে আসছে দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। একদিন তার থেকে একটা নিয়ে আমি খেয়েছিলাম। কিন্তু তাতে আমার দিদি খুব রেগে যায়। পাল্টা আমায় বলেছিল, আমি যেন সেগুলোতে হাত না দিই। এরপর একদিন দিদি বাড়িতে ছিল না, সেদিন আমি ওর ঘর থেকে বগু উপহার কার্ড পাই, যা আমি সোজা গিয়ে মায়ের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলাম। যা নিয়ে বেশ অশান্তি হয়েছিল। দিদির একা একা পড়তে যাওয়া, স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরবর্তীতে সেই সম্পর্ক আমিই বাড়িতে ঠিক করেছিলাম। আমার দিদি ১৫ বছর ধরে প্রেম করেছে একজনের সঙ্গেই। সেই ১৫ বছরের প্রেম, বাড়িতে রাজি আমিই করিয়েছিলাম। বিয়েটাও দায়িত্ব নিয়ে আমিই দিয়েছিলাম। ”