সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, একের পর এক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে যে সম্পর্কের, সেই জুটি আজও সিনেপাড়ায় চর্চিত। সলমন ও ঐশ্বর্যের প্রেমের মেয়াদ যদিও মাত্র আড়াই বছর। হাম দিল দে চুকে সনম ছবি থেকে সফর শুরু। তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে দূরত্ব। ঐশ্বর্য এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আমার দমবন্ধ লাগছে। যদিও সেই সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে খুব বেশি সময় নেননি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এরপর হাত ধরেছিলেন বিবেক ওবেরয়ের। সেই সম্পর্ক বাড়ছিল গোপনেই।
তবে খবর কানে পৌঁছতে খুব সময় নেয়নি সলমন খানের। তিনি সহ্য করতে পারলেন না কোনও পুরুষের সঙ্গে ঐশ্বর্যের সম্পর্ক। বলিউডে তখন সলমন খান ভাই। এক সাক্ষাৎকারে বিবেক ওবেরয় জানিয়েছিলেন মধ্যরাতে তিনটে নাগাদ সলমন খানের ফোন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ফোনে খুব সুখকর কথা হয়নি। সলমন তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন বলিউডে তাঁকে কাজ করতে দেবেন না। যা শুনে একটুও অবাক হননি বিবেক। তিনি দাবি করেছিলেন সলমন সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
বিবেক উত্তর দিয়েছিলেন, তিনি বসে কাঁদার মতো মানুষ নন। তিনি ভয় পান না। দীর্ঘক্ষণ চলেছিল ফোনে সেই বচসা পর্ব। যদিও বিবেক তা নিয়ে কোনও পাল্টা উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। তবে সম্পর্ক যে তাঁর ক্ষেত্রেও সুখকর হয়নি, সেই খবর সকলের জানা। ঐশ্বর্য কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর জীবন থেকে সরে গিয়েছিলেন। তারপরই অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে প্রেম। সেখান থেকেই বিয়ে। তবে কোথাও গিয়ে বিবেক ও সলমনের সম্পর্ক আজও ঠিক হয়নি, কারণ সলমন একাধিকবার এই বিষয় মুখ খুলেছেন ও স্পষ্ট করেছে এই বিষয় তিনি আর জড়াতেই চান না।