আঙুলের ফাঁকে ধরা আগুন। অথবা ঠোঁটে জ্বলন্ত সাদা কাঠি। বিষয় সিগারেট। কারও কাছে যা অভ্যেসের আর এক নাম। কারও কাছে নস্ট্যালজিয়া। কেউ বা ছাড়তে চেয়েও ছাড়তে পারছেন না দীর্ঘ দিনের সঙ্গীকে। ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ধূমপান ক্যানসারের কারণ’, এই আপ্তবাক্য আপনি জানেন। কিন্তু কতজন মানেন বলুন তো?
ক্যালেন্ডারে একটা নো স্মোকিং ডে-ও রয়েছে। ১৯৮৪ থেকে মার্কিন মুলুকে মার্চের দ্বিতীয় বুধবার নো স্মোকিং ডে পালন করা শুরু হয়। এই বছর তা আজকের দিন। বছরভর সচেতনতার মাঝেও ধূমপান ছাড়তে পারছেন না অনেকেই। অনেকে আবার কম বয়স থেকেই এই নেশার শিকার। আপনি কি জানেন, বিভিন্ন দেশে আইনত ধূমপানের বিভিন্ন বয়স রয়েছে?
আরও পড়ুন, লিচু খেলে কী কী শারীরিক উপকার পাবেন?
ভারতে ১৯৭৫ সালের সিগারেট আইন অনুযায়ী, ২১ বছর বয়স হলে তবেই আইনত কোনও নাগরিক ধূমপানের যোগ্য। যদিও সিগারেটের প্যাকেট, কার্টুন, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সব জায়গাতেই ধূমপান বিরোধী প্রচার চলে। সাবধান করে দেওয়ার প্রয়াস সরকারি ভাবে সর্বস্তরে দেখা যায়।
সিঙ্গাপুরে আইনত ধূমপান করার বয়স ২০ থেকে ২১ বছর। ওই বয়সে না পৌঁছলে ধূমপান করা এমনকি তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়, বিক্রয় বা যোগানও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। হন্ডুরাস, কুয়েত, উগান্ডা, শ্রীলঙ্কার মতো দেশেও তামাকজাত দ্রব্য সেবনের আইনানুগ বয়স ২১ বছর।
আরও পড়ুন, ওজন কমাতে চাইলে ওয়ার্কআউটের সময় এই ভুলগুলি করবেন না
জার্মানিতে প্রথমে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ন্যূনতম বয়স ছিল ১৬ বছর। পরে তা বাড়িয়ে ১৮ বছর করা হয়। অন্যদিকে ইউক্রেনের বাসিন্দারা আইনত ১৪ বছর বয়স থেকেই তামাকজাত দ্রব্য সেবন করতে পারেন। কিন্তু ১৮ বছর বয়স না হলে আইনত প্রকাশ্যে তামাকজাত দ্রব্য কিনতে পারবেন না।
অ্যান্টিগুয়া, বাবুদা, বেলিজে, গাম্বিয়ার মতো দেশে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের আইনত নির্দিষ্ট কোনও বয়সসীমা নেই। অন্যদিকে ভুটানে তামাকজাত দ্রব্য সেবন সম্পূর্ণ অবৈধ।