ওমিক্রনের থাবা থেকে কেউ বাদ পড়ছে না। প্রবীণ থেকে নবজাতক, সকলেই এই সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে। অপরিণত ইমিউন সিস্টেমের কারণে বয়স্কদের তুলনায় এক বছরের কম বয়সি শিশুরা কোভিডে আক্রান্ত হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যদিও ওমিক্রনে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। মৃদু থেকে হালকা-মাঝারি ধরনের অসুস্থতা লক্ষ করা গিয়েছে। ছোটরা অসুস্থ হলেও ২-৩দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তবুও প্রতিরোধ গড়ে তোলা সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। পরিবারের ছোট সদস্যকে সুস্থ রাখতে নিজেদের ও শিশুকে নিয়ে কিছু জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।
সবার প্রথমে প্রাথমিক পরিচর্চা হিসেবে বাচ্চাকে সামলানোর সময় বাবা-মাকে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকতে হবে। ঘন ঘন তাদের হাত ধুতে হবে। অভিভাবকরা কোভিডের ২টি ডোজই নিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন। এছাড়া শিশুকেও ফ্লু শট দেওয়া দরকার।
চিকিত্সকের কথায়, অভিভাবকদের অবশ্যই তাদের সদ্যোজাতের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন। কাশি , সর্দি, গলা ব্যাথা, গলায় সংক্রমণ, শরীরে ব্যথা, জ্বর ও ক্লান্তিভাবের মত উপসর্গ দেখা দিলে শিশুর থেকে দূরে থাকুন।
ছোট শিশুকে কোভিড সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঘরের মধ্যে স্বাভাবিক ও সঠিক বায়ুচলাচল করা দরকার। শিশুকে এমন একটি ঘরে রাখুন যেখানে বায়ুচলাচল একদম স্বাভাবিক হয়। শিশুকে নিয়ে আত্মীয়ের ভিড়ের মধ্যে বা আশেপাশে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। মনে রাখা দরকার, ওমিক্রন অত্য্ত সংক্রমণযোগ্য। তাই শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা আবশ্যিক।
শিশু বিশেষজ্ঞেদর মতে, আপনার ছোট্ট শিশুর কাশি, বমি, জ্বরের মত কোনও লক্ষণ একেবারেই উপেক্ষা করবেন না। জরুরি পরিস্থিতিতে একজন শিশুডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশু কখনও গিনিপিগ হতে পারে না। তাই নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত কোনও বুদ্ধি বা ওষুধ দিয়ে বাচ্চার স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না। নিজে নিজে শিশুকে কোনও ওষুধ দেবেন না। এরফলে বাচ্চার শরীরের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে যেতে পারে। সদ্যোজাতের স্বাস্থ্য নিয়ে কখনও ঝুঁকি নেবেন না।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, স্তনদুগ্ধ খাওয়ানোর সময় কোভিড সংক্রমণের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই কোভিড পজিটিভ মায়েদের শিশুকে দুধ খাওয়ানোর আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
নবজাতকের যত্ন নেওয়ার সময় বাবা-মায়েরা কোন কোন জিনিস মনে রাখবেন, তা এখানে দেওয়া রইল…
– শিশুর চারপাশে হেলে মাস্ক পরুন
– ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।
– কোভিডের টিকা সম্পূর্ণ করুন। শিশুকে ফ্লু শট দিন।
– জনসমাবেশ ও আত্মীয়দের ভিড়ে কখনও সন্তানকে নিয়ে যাবেন না।
– বাড়িতে কোভিড পজিটিভ কেউ থাকলে, তার ধারেকাছে নিজেও যাবেন না, শিশুকে নিয়ে আলাদা ঘরে থাকুন।
– বাড়িতে অন্য অতিথিদের অনুমতি দেবেন না।