Alipur Fire: আগুন নিভতেই মিলল ১১টি লাশ, রয়েছেন পুলিশকর্মীও, আলিপুরে ভস্মীভূত রঙের কারখানা

Feb 16, 2024 | 8:49 AM

Alipur Fire: আলিপুরের দয়ালপুর মার্কেটে অবস্থিত ওই কারখানার চত্বর থেকে এগারোজন নিহতের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মীর দেহও রয়েছে। উদ্ধার অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসেস জানিয়েছে, বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ, অগ্নিকরাণ্ডের খবর পেয়েছিল তারা।

Alipur Fire: আগুন নিভতেই মিলল ১১টি লাশ, রয়েছেন পুলিশকর্মীও, আলিপুরে ভস্মীভূত রঙের কারখানা
তখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে কারখানা
Image Credit source: ANI

Follow Us

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায়, দিল্লির আলিপুর এলাকায় এক রঙের কারখানায় বিধ্বংসী আগুনে অন্তত এগারো জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর, আলিপুরের দয়ালপুর মার্কেটে অবস্থিত ওই কারখানার চত্বর থেকে এগারোজন নিহতের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মীর দেহও রয়েছে। উদ্ধার অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসেস জানিয়েছে, বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ, অগ্নিকরাণ্ডের খবর পেয়েছিল তারা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। সব মিলিয়ে দমকলের ২২টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।


দমকল বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, “হতাহতদের অধিকাংশকেই বাবু জগজীবন রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চারজন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে রাজা হরিশচন্দ্র হাসপাতালে। মৃত ব্যক্তিদের সকলকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।” এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন লেগেছিল। তার আগে, একটা প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ হয়েছিল। সেই শব্দ শুনে বহু মানুষ ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তারপর, দমকলের প্রায় ৭-৮টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। পরে, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচারে দমকলের আরও বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন আনা হয়।


পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণ থেকেই আগুন লেগেছিল। সম্ভবত কারখানায় রাখা রাসায়নিক পদার্থ থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে রঙের কারখানাটির পাশাপাশি, আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকানেও আগুন ধরে গিয়েছিল। ওই বাড়ি ও দোকানগুলিরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রায় ৪ ঘন্টার নিরলস চেষ্টায়, রাত ৯টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তবে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেলেও, অনুসন্ধান অভিযান এখনও চলছে। কীভাবে এই আগুন লাগল, তার তদন্তের জন্য পুলিশ এবং দমকলের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ। সপ্তাহ দুয়েক আগেই দিল্লির শাহদারার রাম নগর এলাকায় একটি ভবনে আগুন লেগে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল।

Next Article