ঝাঁসি: হাসপাতালে আগুন লেগে মৃত্যু হল ১০ সদ্যোজাতর। শর্ট সার্কিটের জেরে হাসপাতালে আগুন লাগে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজে। দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই মেডিক্যাল কলেজের নিওনেটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) শুক্রবার রাতে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় চারদিক। হুড়োহুড়ি শুরু হয়। দমকলের ইঞ্জিন আসার আগেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ও ওয়ার্ডের কাচ ভেঙে রোগীদের উদ্ধার করা শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন পৌঁছয় হাসপাতালে।
ঝাঁসির জেলাশাসক অবিনাশ কুমার বলেন, “হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের কর্মীরা জানিয়েছেন যে রাত ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে। শিশুদের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটিতে আগুন লাগে। সম্ভবত, শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে। ৩৭টি শিশুকে নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।” ঝাঁসির জেলাশাসক আরও বলেন, “এনআইসিইউ-র সামনের দিকে যেসব শিশু ছিল, তাদের বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। ভেতরের দিক থেকেও কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।” আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত শিশুদের পরিজনরা। উদভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করতে দেখা যায় অনেককে। এক মহিলা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, “আমার সন্তান আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে।”
দুর্ঘটনায় মৃত শিশুদের পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজে দুর্ঘটনায় শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। আহত শিশুদের দ্রুত আরোগ্য় কামনা করেন তিনি। এদিকে, দুর্ঘটনার পরই ঝাঁসির উদ্দেশে রওনা দেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব।